শ্বেতা মিত্র, নয়া দিল্লিঃ বর্তমান সময়ে একটি জিনিস বড় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর সেটা হল স্কুল ছুটের সমস্যা। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় হয়তো কোনো পরিবারের ছেলে মেয়েরা পড়াশোনায় হয়তো ভালো। কিন্তু পারিবারিক স্বছলতা না থাকার কারণে মাঝপথেই হয়তো তাঁদের পড়াশোনা বন্ধ করে দেওয়া হয়। আপনিও কি আপনার সন্তানকে ভালোভাবে পড়াশোনা করিয়ে নিজের পায়ে দাঁড় করাতে চান? অথচ টাকা নেই? তাহলে আপনার জন্য রইল অত্যন্ত জরুরি খবর। এবার আপনার সন্তানও যাতে ভালো করে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে সক্ষম হয় তার জন্য ১২,০০০ টাকা করে দেবে কেন্দ্র। শুনের চমকে গেলেন তো? কিন্তু এটাই সত্যি।
NMMSS Scholarship-এ ১২,০০০ টাকা দেবে কেন্দ্র
আসলে এই স্কুলছুটের প্রবৃত্তি রুখতে বিশেষ স্কলারশিপ দিচ্ছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক। এই স্কলারশিপের আওতায় পড়ুয়াদের বার্ষিক ১২,০০০ টাকা দেওয়া হবে। শিক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, এই প্রকল্পের আওতায় এক লাখ স্কলারশিপ দেওয়া হচ্ছে। ২০২৪-২৫ সালের ‘ন্যাশনাল মিনস-মেরিট স্কলারশিপ স্কিম’ (NMMSS) এর জন্য সারা দেশ থেকে মেধাবী শিক্ষার্থীরা ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। কেন্দ্র যা জানিয়েছে সেটা অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ৮০ হাজারের বেশি নতুন শিক্ষার্থী এই বৃত্তির জন্য আবেদন করেছে।
NMMSS Scholarship-এ আবেদনের নিয়ম
শিক্ষার্থীদের প্রথমে এনএসপি পোর্টালে এককালীন রেজিস্ট্রেশন (ওটিআর) করতে হবে, তারপরে তাদের নির্বাচিত বৃত্তি প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে হবে। ‘ন্যাশনাল মিনস-মেরিট স্কলারশিপ (NNMSM) স্কিম’-এর আওতায় নবম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের সাহায্য করতে এই প্রকল্প আনা হয়েছে।
টাকা ঢুকবে পড়ুয়াদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে
এনএমএমএসএস স্কলারশিপ পাবলিক ফিনান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (পিএফএমএস) এর পরে ডিবিটি মোডের পরে বৈদ্যুতিন স্থানান্তরের মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সরাসরি পাঠানো হবে করা হয়। যে সমস্ত শিক্ষার্থীর বাবা ও মায়ের বার্ষিক আয় ৩, ৫০, ০০০ টাকার বেশি নয় তারা এই বৃত্তি পাওয়ার যোগ্য।
আরও পড়ুনঃ নির্দল হয়ে হারান তৃণমূলকে, এবার তালডাংরা কেন্দ্রে BJP-র প্রার্থী! কে এই অনন্যা রায় চক্রবর্তী?
স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য বাছাই পরীক্ষায় বসতে হলে সপ্তম শ্রেণির পরীক্ষায় ন্যূনতম ৫৫ শতাংশ নম্বর বা সমতুল্য নম্বর থাকতে হবে (তপশিলি জাতি/উপজাতি পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ ছাড়)। বৃত্তির আবেদনগুলি জাতীয় বৃত্তি পোর্টালে যাচাইকরণের দুটি স্তরের মধ্য দিয়ে যায়। স্কুল স্তরে ইনস্টিটিউট নোডাল অফিসার (আইএনও) দ্বারা এবং দ্বিতীয়টি জেলা নোডাল অফিসার (ডিএনও) দ্বারা যাচাই করা হয়।