শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ ভারতীয় রেলকে দেশের মেরুদণ্ড বলা হয়ে থাকে। আর সাধেই কিন্তু এই তকমাটা দেওয়া হয়নি। কিলোমিটারের পর কিলোমিটার অব্দি ছড়িয়ে থাকা রেললাইন এবং তার ওপর দিয়ে প্রতিদিন ছুটে চলা হাজার হাজার ট্রেন সকলের কাছেই একটা বিস্ময়ের সমান। এদিকে এই ট্রেনে করে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ নিজেদের গন্তব্যে ছুটে চলেছেন। লোকাল ট্রেন থেকে শুরু করে এক্সপ্রেস ট্রেন সকলে যোগাযোগের অন্যতম প্রিয় এবং সুবিধার মাধ্যম হয়ে উঠেছে তবে আজকের এই প্রতিবেদনে এমন একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে যেটি সম্পর্কে শুনলে হয়তো আপনিও আকাশ থেকে পড়বেন।
আজকের এই আর্টিকেলে কোনও হাই স্পিড বা প্রিমিয়াম ট্রেন কিংবা রেল রুট নিয়ে আজ আলোচনা করা হবে না। আজ আলোচনা করা হবে পূর্ব ভারতের সবথেকে ‘বড়’ রেলওয়ে স্টেশন নিয়ে। আসলে এই ‘বড়’ কথাটি ব্যবহার করা হয়েছে স্টেশনটির নামের জন্য। হয়তো আপনি কোনওদিনই এত বড় রেল স্টেশনের নাম দেখেননি। আবার এই রেলস্টেশনটি রয়েছে খোদ বাংলার বুকে যা বছরের পর বছর ধরে বাংলার মানুষের গর্ব বাড়িয়েই চলেছে। তাহলে বিশদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই লেখাটির উপর।
এত বড় রেল স্টেশনের নাম
আজ কথা হচ্ছে পূর্ব ভারতের সবথেকে বড় রেলস্টেশন নিয়ে, যেটির নাম উচ্চারণ করতে গিয়ে দাঁত ভেঙে যাবে। কথা হচ্ছে হাওড়া-খড়গপুর ডিভিশনের নারায়ণ পাকুড়িয়া মুড়াইল রেল স্টেশন নিয়ে। পূর্ব ভারতে এত বড় রেল স্টেশনের নাম আর কোথাও নেই। এতে বাংলায় ১২টি অক্ষর রয়েছে। আর ইংরেজিতে রয়েছে ২০টি অক্ষর। পূর্ব ভারতের হাওড়াও খড়গপুর লাইনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন হলো এই নারায়ণ পাকুড়িয়া মুড়াইল রেল স্টেশনটি। এই রেলস্টেশনটির বয়স ১২৪ বছর বলে খবর। এটি পুরো ভারতের প্রাচীন এবং ঐতিহ্যবাহী একটি রেলস্টেশন।
নারায়ণ পাকুড়িয়া মুড়াইল রেল স্টেশন
জানা গিয়েছে, এই রেলস্টেশনটি পাঁশকুড়ায় অবস্থিত। এই স্টেশনের কাছেই রয়েছে পাঁশকুড়া জংশন ও ভোগপুর জংশন। হাওড়া থেকে রেল স্টেশনটির দূরত্ব মাত্র ৬৭ কিলোমিটার। স্টেশনে রয়েছে মাত্র দুটি প্লাটফর্ম।