শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ ইসরো (ISRO)-তে চাকরি পাওয়া প্রত্যেক ভারতীয় যুবক-যুবতীর কাছে বড় স্বপ্নের সমান। অনেকেই আছেন যারা বছরে পর বছর ধরে পরীক্ষা দিয়ে তারপর ইসরোতে চাকরি পাওয়ার সৌভাগ্য লাভ করেন। কিন্তু আজকের এই প্রতিবেদনে এমন একজনকে নিয়ে আলোচনা করা হবে যে কিনা একসময় ইসরোর একজন বড় বৈজ্ঞানিক ছিলেন কিন্তু এখন সে বড় ব্যবসায়ী। বিশেষ করে এখন ক্যাব চালিয়ে বছরে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করছেন। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। আজ কথা হচ্ছে উথায়া কুমারকে নিয়ে।
ইসরোর বিজ্ঞানী থেকে ক্যাব চালক
ইসরোতে যেখানে চাকরি পাওয়া ভাগ্যের ব্যপার সেখানে উথায়া কুমার চাকরি ছেড়ে এখন ব্যবসা করছেন। আর গাড়ির ব্যবসায় ভালো লক্ষ্মীলাভও করছেন তিনি। জানা গিয়েছে, তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারী জেলার একটি ছোট্ট শহরের বাসিন্দা উথায়া কুমার ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (ISRO) একজন বিজ্ঞানী ছিলেন। PhD শেষ করে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থায় (ইসরো) তাঁর স্বপ্নের চাকরিতে যোগও দেন তিনি। সেখানে মহাকাশ জ্বালানি সংক্রান্ত বিষয়ের দায়িত্বভার ছিল তাঁর হাতে।
তবে একটা সময়ে গিয়ে ইসরোর চাকরি ছেড়ে সফল উদ্যোক্তা হওয়ার মতো সাহসী সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এরপর যেমন ভাবা তেমন কাজ। বন্ধুদের সহায়তায়, তিনি তার বাবা-মা সুকুমারন এবং থুলাসের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ২০১৭ সালে এসটি ক্যাবস শুরু করেন। এখন তিনি মুঠো মুঠো টাকা উপার্জন করছেন।
কোটি কোটি টাকা আয় করছেন প্রাক্তন বিজ্ঞানী
এখন উথায়া কুমার ৩৭টি গাড়ির কোম্পানি থেকে প্রতি বছর ২ কোটি টাকা আয় করছেন। তিনি প্রায় ৭ বছর ধরে ইসরোর বিজ্ঞানী হিসাবে কাজ করেছিলেন। পরে তিনি একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সহকারী অধ্যাপক হন। নিজের স্বপ্ন পূরণের আশায় সেই চাকরিও ছেড়ে দেন। ভারতের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সুযোগ পেলেও উথিয়া কুমার তার পরবর্তী স্বপ্ন হিসেবে বেছে নেন উদ্যোক্তাকে। উথ্যা কুমার তার বাবা-মা সুকুমারন এবং থুলাসের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ২০১৭ সালে এসটি ক্যাবস শুরু করেছিলেন। যা সত্যিই প্রশংসনীয় তা হ’ল তাঁর ৩৭ টি গাড়ির স্টার্টআপ প্রতি বছর পুরো ২ কোটি টাকা আয় করছে।
উথায়ার এই গুণ সম্পর্কে জানেন?
আরও অনুপ্রেরণাদায়ক হ’ল ট্যাক্সি ড্রাইভারদের প্রতি উথায়ার দৃষ্টিভঙ্গি। তাদেরকে তিনি অংশীদার মনে করেন। জানলে অবাক হবেন, উথায়ার অধীনে যারা কাজ করেন তাঁরা ৩০% ভাগ পায়। উপরন্তু, যদি কর্মচারীরা একটি নতুন গাড়ি যোগ করে তবে তারা উপার্জন থেকে ৭০ ভাগ পায়। এই অনন্য পদ্ধতিটি কেবল ড্রাইভারদের অনুপ্রাণিত করেনি বরং আরও বেশি গ্রাহক এবং গাড়ি আকর্ষণ করে কোম্পানির সাফল্যে অবদান রেখেছে যাতে আরও বেশি লাভ পাওয়া যায়।