প্রীতি পোদ্দার, বারাসত: সামনেই কালীপুজো। হাতে মাত্র আর কয়েকদিন বাকি। ইতিমধ্যেই মাঠে মাঠে বাঁশের কাঠামো বাঁধা শুরু হয়ে গিয়েছে। আলোর রোশনাই সাজতে চলেছে চারিদিক। দর্শনার্থীদের কাছে দুর্গাপুজো যেমন এককথায় কলকাতাকেই বোঝায়, ঠিক তেমনি কালীপুজো বলতে আমরা সকলেই বুঝি বারাসতকে। তবে শুধু বারাসত নয়, পাশাপাশি মধ্যমগ্রাম ও নৈহাটির কালীপুজোও কম–বেশি জনপ্রিয়। প্যান্ডেলে প্যান্ডেল মায়ের দর্শনের জন্যও বেশ
ভিড়ও জমে এখানে। তবে এই পুজোর আনন্দের মাঝেই এবার জল ঢালতে চলেছে ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’। মন্ডপসজ্জার কাজ নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন বারাসতের পুজো উদ্যোক্তারা।
বারাসতের পুজো উদ্যোক্তাদের বড় পদক্ষেপ!
বারাসতের পুজো বলতে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় পাইওনিয়ার পার্ক, শতদল সংঘ, নবপল্লি অ্যাসোসিয়েশন, বারাসত ব্যায়াম সমিতি, কেএনসি রেজিমেন্ট, সন্ধানী ক্লাব, বিদ্রোহী ক্লাব ও নবপল্লি ইত্যাদি। থিমের চমক তো বটেই আলোকসজ্জাতেও প্রতি বছর চমকিয়ে দেয় দর্শনার্থীদের। কিন্তু এই আবহে বাংলায় ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’-র ভ্রুকুটি দেখা দেওয়ায় তাই এবার মণ্ডপ নিয়ে বড় পদক্ষেপ নিল বারাসতের পুজো উদ্যোক্তারা। আজকের মধ্যে তড়িঘড়ি মণ্ডপসজ্জার কাজ অনেকটা সেরে নিতে চলেছেন তারা। তবে কোনো রিস্ক না নিয়ে কিছু কিছু পুজো উদ্যোক্তারা মণ্ডপের কাজ বন্ধ রাখছে আবহাওয়াজনিত কারণে।
কী বলছেন বিদ্রোহী ক্লাবের সম্পাদক?
এই আবহে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও বারাসতের কালীপুজোর উদ্যোক্তাদের দুর্যোগ সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছে। গতকাল অর্থাৎ সোমবার বারাসতের রবীন্দ্রভবনে পুজো উদ্যোক্তাদের নিয়ে একটি প্রশাসনিক বৈঠক করা হয়েছে। বিদ্রোহী ক্লাবের সম্পাদক মানিক দত্ত জানিয়েছেন, ‘আবহাওয়া দপ্তরের খবর অনুযায়ী, দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব ফেলবে। তাই সেই কারণে আমরা অনেক আগে থেকেই পুজোর মণ্ডপসজ্জার কাজ শুরু করেছি। আশা করছি এই মন্ডপসজ্জার কাজে কোনো ব্যাঘাত ঘটবে না।”
আরও পড়ুনঃ ‘ডানা’-র দাপটে বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি কর্মীদের ছুটি বাতিলের ঘোষণা রাজ্যের
প্রসঙ্গত, IMD জানিয়েছে, আগামীকাল অর্থাৎ ২৩ অক্টোবর, বুধবার বঙ্গোপসাগরের উপর তৈরি হতে পারে ঘূর্ণিঝড়। যার প্রভাবে সাগরের উপর দমকা হাওয়ার গতি হতে পারে ঘণ্টায় ১৩৫ কিলোমিটার। তাই আগামী শুক্রবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।