প্রীতি পোদ্দার, নয়া দিল্লি: কর্মজীবনে টাকা রোজগারের পাশাপাশি প্রত্যেকে ভবিষ্যৎ এর অবসর জীবন নিয়ে একপ্রকার চিন্তা ভাবনা করে থাকেই। তাই সেই দিনের কথা মাথায় রেখেই এখনই অনেকে পরিকল্পনা মাফিক অল্প অল্প করে সঞ্চয় করেন। যাতে তাঁদের বৃদ্ধ বয়সে ছেলেমেয়েদের উপর নির্ভরশীল হওয়ার কোনো প্রয়োজন পড়বে না। আর সেই ক্ষেত্রে অনেকেই EPFO এ ভরসা রাখেন। তবে EPFO-এ আরও বেশি করে টাকা জমা দেওয়ার জন্য ভরসা একমাত্র VPF। তবে সম্প্রতি জানা গিয়েছে এবার ভলেন্টিয়ারি প্রভিডেন্ট ফান্ড নিয়ে বড় উদ্যোগ নিতে চলেছে সরকার।
ভলেন্টিয়ারি প্রভিডেন্ট ফান্ড বা VPF হল অবসরকালীন সময়ে চাকরিজীবীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সামাজিক সুরক্ষা খাতের একটি উদ্যোগ এই প্রভিডেন্ট ফান্ড। মনে করা হয় চাকরিজীবীদের জন্য এটাই অন্যতম সুরক্ষিত নিরাপদ বিনিয়োগের মাধ্যম এবং এর মাধ্যমে কর ছাড়েও বেশ কিছু সুবিধে পাওয়া যায়। অবসরকালীন সময়ে প্রভিডেন্ট ফান্ডের মাধ্যমে বিপুল আর্থিক সহায়তা পান চাকরিজীবীরা। তবে বর্তমানে এটি করের আওতায় থাকলেও এটিকে কর ছাড়ের কথা ভাবছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে দেশের সাধারণ নাগরিকদের কথা ভেবে এই ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।
VPF গ্রাহকদের জন্য বড় সুখবর!
আসলে মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন মধ্যবিত্তরা EPFO-তে নিজেদের অর্থ রাখেন বলে একটি নির্দিষ্ট সময় পরে তারা ভালো রিটার্ন পেয়ে থাকেন। কিন্তু যারা মাসে প্রচুর টাকা উপার্জন করেন তাদের জন্য এই ব্যবস্থা থাকে না। কিন্তু সরকার ভাবছে এখানে যদি কর ছাড় এর ব্যবস্থা করা হয় তবে সেটা আরও বেশি লাভজনক হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতি এক বিশেষ সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশনের বা EPFO এর অধীনে VPF এর বিনিয়োগের সীমা করমুক্ত সুদ সহ ২.৫ লক্ষ টাকা থেকে বাড়ানো যেতে পারে। তবে এর থেকে বেশি টাকার ক্ষেত্রে সুদের ওপর কর দিতে হবে।
২০২৬ এর বাজেটের আলোচনায় উঠে আসবে VPF-র প্রসঙ্গ!
জানা গিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার এই বিষয় নিয়ে আগামী বাজেটে অর্থাৎ ২০২৬ এর বাজেটে এই বিষয়টি নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে তুলে ধরবে। যদি সেই আলোচনায় সবুজ সংকেত মেলে তাহলে খুব শীঘ্রই এই ব্যবস্থা চালু করা হবে। এর আগে বেশ কয়েকবার এই সুদের হারে নানা ধরণের পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে ভলেন্টিয়ারি প্রভিডেন্ট ফান্ড বা VPF নিয়ে এবার আলাদাভাবে চিন্তাভাবনা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। যদি একে করমুক্ত করা হয় তবে তা সকলের পক্ষেই ভাল হবে। এখানে ইতিমধ্যেই প্রচুর মানুষের অর্থ রয়েছে। সেই অর্থ যদি এবার করমুক্ত হয়ে যায় তবে তা লাভজনক হবে।