শ্বেতা মিত্র, বর্ধমান: হলুদ (Turmeric)… এমন একটা জিনিস যেটি কিনা আপনি সব বাঙালি হেঁশেলেই দেখতে পাবেন। কারণ এই হলুদ ছাড়া বাঙালি রান্না এক কথায় অসম্পূর্ণ। তবে এবার এই হলুদ নিয়েই এমন এক বিস্ফোরক তথ্য উঠে এলো যার পরে চমকে গিয়েছেন সকলেই। অনেকেই এখন এবার হলুদ ব্যবহার করতে ভয় পাবেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আসলে এবার এক নামি ব্র্যান্ডের হলুদ থেকে শুরু করে বিস্কুট নমুনা পরীক্ষায় রীতিমতো ডাহা ফেল করেছে। যার পরে বিক্রির উপনিষেধাজ্ঞা জারি হয়ে গেল। এখন আপনিও কি জানতে ইচ্ছুক যে কোন কোম্পানির হলুদ থেকে শুরু করে বিস্কুট নমুনা পরীক্ষায় ডাহা ফেল করেছে? আপনি সেই কোম্পানির জিনিস ব্যবহার করেন না তো? তাহলে বিশদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই লেখাটির উপর।
নমুনা পরীক্ষায় ডাহা ফেল হলুদ ও বিস্কুট
আসলে বিগত কয়েকদিন ধরেই পূর্ব বর্ধমান জেলার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে নমুনা সংগ্রহ করছিলেন খাদ্য দফতরের আধিকারিকরা। এরপর নমুনা সংগ্রহ তারপর সেটি পরীক্ষা করে দেখতেই চোখ কপালে উঠেছে বিশেষজ্ঞদের। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, গত ২৫ এপ্রিল গলসি-২ ব্লকের খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক একটি নামী সংস্থা ‘ই-টাইম’ বিস্কুটের ৩০৬ গ্রামের প্যাকেট সংগ্রহ করেছিলেন। সেটি নমুনা পরীক্ষায় ফেল করেছে। রিপোর্টে সাফ সাফ উল্লেখ করা হয়েছে, তা ‘আনসেফ’।
শুধু তাই নয়, এরপর আরও নানা খাদ্যদ্রব্য পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেন খাদ্য দফতরের অধিকারিকরা। ফলে যেমন ভাবা তেমন কাজ। গত ২৪ জুলাই মেমারি-২ ব্লকের খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক নামী ব্র্যান্ডের গুঁড়ো হলুদের ৫০০ গ্রামের প্যাকেট সংগ্রহ করে নমুনা পরীক্ষায় পাঠিয়েছিলেন। সেটিও পরীক্ষায় ডাহা ফেল করে বলে খবর। ওই হলুদ গুঁড়ো খাওয়া নিরাপদ নয় বলে রিপোর্ট এসেছে।
কী বলছেন খাদ্য দফতরের আধিকারিকরা?
আপাতত পূর্ব বর্ধমানে অভিযুক্ত কোম্পানিগুলির জিনিস ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। জেলার ডেপুটি সিএমওএইচ (২) তথা খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সুবর্ণ গোস্বামী বুধবার জানান, একইসঙ্গে ওই সব খাদ্যসামগ্রী উৎপাদনকারী তিনটি সংস্থাকে চিঠি দিয়ে তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।ডেপুটি সিএমওএইচ (২) জানান, ওই সব খাদ্যসামগ্রীর সংশ্লিষ্ট ব্যাচ নম্বরের সমস্ত ‘প্রোডাক্ট’ বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এহেন ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল আতঙ্ক ছড়িয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।