প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: এর আগে নিম্নচাপের জেরে একাধিক এলাকা বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছিল। তার মধ্যে অন্যতম হল বলাগড়। সেখানে বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে যান হুগলির সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে বিভিন্ন এলাকা যেমন চাঁদরা মিলনগর, চর, খয়রামারি -সহ ভাঙন ও বন্যা কবলিত এলাকা ঘুরে দেখেন সাংসদ। এলাকায় বন্যা দর্শনের মাঝেই ডিভিসিকে একের পর এক দোষ দিতেও ছাড়েননি তিনি। আর ঠিক এই সময়েই তিনি ‘বেফাঁস’ মন্তব্য করে বসেন। তিনি বলেছিলেন ‘কুইন্টাল কুইন্টাল জল ছাড়া হয়েছে’।
রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর ট্রোলের মুখে মমতা!
সাধারণত জল মাপার ক্ষেত্রে একক হিসাবে ব্যবহার করা হয় কিউসেক। আর ভারী বস্তুর ওজন মাপার ক্ষেত্রে কুইন্টাল। কিন্তু হুগলির সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় এই শব্দ গুলিয়ে ফেলতেই ফের ট্রোলের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপি নেতা নেত্রীরাও। আর এই আবহেই জল নয় জলের ধারণ ক্ষমতার নতুন একক নিয়ে ফের সোশ্যাল মিডিয়ার চর্চার মধ্যে উঠে এলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আসলে কিছু দিন আগে গত মাসে, বন্যার পর থেকেই অনিয়ন্ত্রিতভাবে ডিভিসির জল ছাড়া নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ তোলেন মমতা। এবং বন্যার জন্য এক এবং একমাত্র দায়ী করা হয়েছিল ডিভিসিকে। এমনকি সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করার কথাও ঘোষণা করেন তিনি। আর ফলে রাজ্য এবং কেন্দ্রের দ্বন্দ্ব নয়া আকার ধারণ করেছে। আর সেই রেশ কাটতে না কাটতেই হাজির আরেক বিপদ। আর সেটি হল ঘূর্ণিঝড় ডানা। মুষলধারায় বৃষ্টির জেরে ফের একবার প্লাবনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে দক্ষিণবঙ্গের নিচু এলাকাগুলিতে।
নবান্নে সাংবাদিকদের বৈঠকে বেফাঁস মুখ্যমন্ত্রী!
বৃহস্পতিবার নবান্নে, ঘূর্ণিঝড় ডানা নিয়ে সাংবাদিকদের সামনে বক্তব্য রাখার সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘ডিভিসির ওটা যদি ওরা খননটা ঠিক মতো করে, পলিগুলো ক্লিয়ার করে তাহলে কিন্তু ওরা চার লক্ষ কিউসেক টন বেশি জল বেশি রাখতে পারে।’ এর পরই পাশে বসে থাকা এক মুখ্যসচিবের দিকে তাকিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, ‘কিউসেক বলে, তাই তো?’ মানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জল ধারণ ক্ষমতার একক হিসেবে তুলে ধরেছেন কিউসেক টন কে।
তোলামূলের অনন্য প্রতিভাশালীদের কেউ জল মাপেন কুইন্টাল-এ, কেউ মিলিলিটারে, তো কেউ আবার জল মাপেন মেট্রিক টন বা টন-এ…. pic.twitter.com/Pm9kZjrZGQ
— Suvendu Adhikari (@SuvenduWB) October 24, 2024
ট্রোল করতে ছাড়লেন না শুভেন্দু অধিকারী
সাধারণত বাঁধের জলধারণ ক্ষমতা ঘনফুট, ঘন মিটার, একর ফুট ইত্যাদি এককে মাপা হয়। অন্যদিকে কিউসেক বা কিউমেক এককে মাপা হয় কোনও ছিদ্র থেকে তরলের নির্গমনের হারকে। তাই এদিন মুখ্যমন্ত্রীর এই ভুল একককে ট্রোল করতে ছাড়লেন না বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে সেই ভিডিও পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখেন, ‘তোলামূলের অনন্য প্রতিভাশালীদের কেউ জল মাপেন কুইন্টাল-এ, কেউ মিলিলিটারে, তো কেউ আবার জল মাপেন মেট্রিক টন বা টন-এ….’। তুমুল ভাইরাল হয় সেই পোস্ট। কমেন্ট বক্সে ভেসে আসে নানা ধরনের মন্তব্য।