শ্বেতা মিত্রঃ সামনেই রয়েছে দীপাবলি। আর এই দীপাবলিকে ঘিরে সকলের প্রস্তুতি রীতিমতো তুঙ্গে রয়েছেন। কেউ নতুন ঘরবাড়ি কিনছেন তো কেউ কেউ আছেন যারা ঘরবাড়ি সাজানোর জিনিসপত্র কিনেছেন। আবার অনেকেই আছেন যারা ক্ষনিকের আনন্দের জন্য আতশবাজি কিনছেন। সব মিলিয়ে এখন দীপাবলিকে কেন্দ্র করে গোটা দেশে সাজো সাজো রব। প্রতিবেদনে এমন একটি গ্রামকে নিয়ে আলোচনা করা হবে যেটির নাম কিনা দীপাবলি ( DEEPAVALI)। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। আর এই গ্রামে টানা পাঁচ দিন ধরে চলে উৎসব আনন্দ। আপনিও কি জানতে ইচ্ছুক যে এই জায়গাটার নাম দীপাবলি কেন? এর পেছনে রহস্যই বা কী? তাহলে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই লেখাটির উপর।
গ্রামের নাম দীপাবলি
আজ কথা হচ্ছে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলাম জেলার গড় মণ্ডলে অবস্থিত ‘দীপাবলি’ গ্রাম নিয়ে। কীভাবে এই গ্রামের নাম ‘দীপাবলি’ হল তার ইতিহাস জানতে হবে। উত্তর অন্ধ্রেই শ্রীকাকুলাম জেলার ‘দীপাবলি’ গ্রামের মানুষ টানা পাঁচদিন ধরে দীপাবলি উৎসব পালন করেন। এই গ্রামের লোকেরা জানাচ্ছেন, যে দীপাবলির দিন তাঁরা পূর্বপুরুষদের পুজো করার পরেই দীপাবলি উৎসব পালন করেন।
গ্রামের নাম দীপাবলি কেন?
এখন আপনিও ভাবতে পারেন নিশ্চয়ই যে গ্রামের নাম দীপাবলি কেন? বলা হয়, নাকি প্রাচীনকালে শ্রীকাকুলাম এমন এক রাজা দ্বারা শাসিত ছিল যিনি এই গ্রামের পাশ দিয়ে শ্রীকুর্মানাথ ঠাকুরের দর্শন করতে যেতেন। একদিন রাজা যখন কুর্মানাথ দর্শন করে ফেরার সময় আচমকা জ্ঞান হারান। এদিকে এই খবর গ্রামবাসিদের কানে যেতেই গ্রামের লোকেরা একটি প্রদীপ নিয়ে রাজার কাছে গিয়ে তাঁকে জল খাওয়ান। গ্রামবাসীরা বলেন, আমাদের গ্রামের কোনো নাম নেই। রাজা নাকি বলেন, তোমরা আমাকে প্রদীপের আলোয় সেবা করেছ, তাই আমি এই গ্রামের নাম দীপাবলি রাখছি।
View this post on Instagram
জানা যায়, এই গ্রামের মানুষ সংক্রান্তির দিন পৈতৃক সংকল্প এবং বয়স্কদের জন্য নতুন পোশাক পরেন। শ্রীকাকুলাম জেলার এই দীপাবলি গ্রামে ‘সোন্ডি’ জাতিভুক্ত মানুষেরা দীপাবলিতে খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠেন এবং পিতৃ পুরুষদের জন্য পুজো করেন। এই বিশেষ সম্প্রদায়ের লোকেরা পিতৃ পূজা করেন এবং দীপাবলির দিন তাদের পূর্বপুরুষদের আশীর্বাদ পেতে নতুন পোশাক পরেন।