প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: কম খরচে কাছাকাছি বাঙালির অতি প্রিয় ডেস্টিনেশন হল দিঘা (Digha)। তার উপর সময় যত এগোচ্ছে ততই এই সৈকত সুন্দরী দিঘার প্রতি ভ্রমণপিপাসু বাঙালির টান আরও বাড়ছে। যার ফলে পর্যটকদের ভিড় ক্রমে বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রায় প্রতিদিনই দিঘায় বাড়ছে নতুন নতুন হোটেল, নতুন নতুন ঠিকানা।তাই এককথায় বলা যায় সেখানে ব্যবসা ভালই বাড়ছে। আর এই সব দিক বিচার বিবেচনা করে এক বড় উদ্যোগ নিতে চলেছে রাজ্য দরকার। দিঘা, পূর্ব মেদিনীপুর ও কলকাতার মধ্যে সব মিলিয়ে চারটি বাইপাস তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
দিঘা ভ্রমণ হবে আরও সহজ!
এই মুহূর্তে ট্রেন এবং সড়ক মাধ্যম উভয় দিয়েই দিঘা পৌঁছনো যায়। আর সব মিলিয়ে মোট ৪ ঘণ্টায় পৌঁছনো যায় কলকাতা থেকে দিঘায়। তবে এবার সেই সময় আরও কমতে চলেছে। এবার যাতে মুহূর্তের মধ্যেই দ্রুত দিঘায় যাতে পৌঁছতে পারে পর্যটকেরা, তারই পরিকল্পনা করে চলেছে রাজ্য সরকার ৷ আর সেই জন্যই কলকাতা থেকে দিঘার পথে চারটে নতুন বাইপাস তৈরি করতে চলেছে প্রশাসন। দীপাবলীর পরেই শুরু হবে কাজ।
প্রকাশ্যে আসল বাইপাস নির্মাণের বরাদ্দ! Nandakumar Digha Bypass |
জানা গিয়েছে, দিঘা সংযোগকারী জাতীয় সড়ক ১১৬-বি’র উপর রামনগর থেকে বালিসাই পর্যন্ত একটি বাইপাস রাস্তা তৈরি হবে। ফলস্বরূপ একদমই যানজটমুক্ত থাকবে দিঘা। আর যানজটমুক্ত থাকলেই কমবে দুর্ঘটনার সংখ্যাও। অন্যদিকে নন্দকুমার থেকে দিঘা পর্যন্ত এই বাইপাস হবে। এই জায়গাটির দূরত্ব প্রায় ৯০ কিমি। হেড়িয়া, কলিঙ্গনগর কালী মন্দির, কন্টাই ও আলমপুরের মধ্যে এই বাইপাস তৈরি হতে পারে। প্রশাসন সূত্রে যা খবর, এই বাইপাস তৈরি করতে খরচ হবে ৮৫০ কোটি টাকা ।
এখানেই শেষ নয়, রাজ্য সরকারের তরফ থেকে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে এই দিঘাতেই তৈরি হচ্ছে জগন্নাথ মন্দির। পুরোদমে চলছে সেই কাজ। বিরাট জায়গার উপর তৈরি হচ্ছে এই মন্দির। এই মন্দিরকে ঘিরেও বিরাট জনসমাগম হবে আগামী দিনে। অর্থাৎ দিঘাতে গিয়ে এবার পর্যটকরা একটা দিন জগন্নাথ মন্দির দর্শনের জন্য বরাদ্দ রাখবেন। সেক্ষেত্রে দিঘাতে এবার হোটেল ব্যবসা আরও উন্নতি লাভ করতে পারে।
রাজ্যের এক আধিকারিকের কথায়, রাজ্য সরকার যে বাইপাস তৈরি করতে চাইছে, তা সম্পূর্ণ হয়ে গেলে দিঘা পৌঁছনোর সময় প্রায় ৪৫ মিনিট কমে যাবে। শুধু তাই নয়, এই নতুন বাইপাস তৈরি হয়ে গেলে দিঘার অর্থনীতিতেও তার বড় সুপ্রভাব পড়বে। তার উপর আগামী দিনে যখন জগন্নাথ মন্দির সম্পূর্ণ হয়ে যাবে, তখন প্রচুর মানুষ আসবেন দিঘায়। সে সময় দিঘার উপর যানবাহনের চাপ কমানোর জন্যই এই ভাবনা রাজ্য সরকারের।