প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: গত কয়েকদিন ধরে খবরের শিরোনামে বারংবার উঠে এসেছে ভাঙড়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এর আগে ভাঙড়ের কর্মীসভা থেকে প্রকাশ্যে নাম না করে আরাবুল ইসলামকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh)। আর এবার ভাঙড়ে ফের প্রকাশ্যে উঠে এসেছে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। তৃণমূল কর্মীদের সরাসরি জুতো পেটার নিদান দিলেন যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ সায়নী।
ঘটনাটি কী ঘটেছিল?
আসলে ভাঙড় কলেজ মাঠে তৃণমূল কংগ্রেস একটি বিজয়া সম্মিলনী সভার আয়োজন করেছিল। আর সেই সভায় আমন্ত্রিত ছিলেন যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ সায়নী ঘোষ, ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা ও অন্যান্য তৃণমূল নেতা-নেতৃত্বরা। সভার শুরুর দিকে বেশ ভালই চলছিল সব কিছু। কিন্তু হঠাৎ করেই সভার মাঝখানে নিজের দলের নেতাদের বিরুদ্ধে ভয়ংকর ভাবে গর্জে উঠলেন সাংসদ সায়নী ঘোষ ও বিধায়ক শওকত মোল্লা। দিলেন জুতো পেটার নিদান।
বিজয়া সন্মেলনীতে বিস্ফোরক সায়নী!
এদিন প্রকাশ্যে মঞ্চ থেকে সাংসদ সায়নী ঘোষ জানান, “ যে সকল সদস্য দলকে সমানে বদনাম করার চেষ্টা করে চলেছেন এবং যাঁরা দলের নাম ভাঙিয়ে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করার চেষ্টা করছেন, এবং যাঁরা মানুষকে নানান পরিষেবা দেবে বলে বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করার চেষ্টা করছেন, তাঁদেরকে যেন সরাসরি জুতো পেটা করা হয়।” তিনি আরও বলেন যে, “ মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক খেটেখুটে এই দল তৈরি করেছেন। তাই যাঁরা নিজেদের পকেট ভরবেন বলে তৃণমূল করছেন, তাঁদের স্থান তৃণমূলে নেই।”
পাশাপাশি সায়নীর সুর ধরেই রাগে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বিধায়ক শওকাত মোল্লা। এদিন তিনি সভায় জানান, “ভাঙড়ে গরিব মানুষের জন্য ১৭ হাজার ঘরের অনুমোদন পাস হয়ে রয়েছে। সেই ঘরের জন্য সার্ভে করছে। তাই আমাদের নেতাদের অনুরোধ করছি যে আপনারা কোনও গরিব মানুষের কাছ থেকে ঘরের জন্য কোনও টাকা নেবেন না।” এছাড়াও জনগণের উদ্দেশে তিনি বলেন, “যদি কোনও নেতা আপনাদের কাছ থেকে টাকা চাইতে যান, তাহলে তাঁর গালে সোজা থাপ্পড় মারবেন। তারপর আমাদের খবর দেবেন। কারণ এই ঘরের টাকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিচ্ছেন। অনেক কষ্ট করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার চালাচ্ছেন।”