শ্বেতা মিত্রঃ দীপাবলির আগে রাজ্য সরকারের তরফে বড় ঘোষণা করা হল। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজ্যের সরকার নিজেদের কর্মীদের দীপাবলির বোনাস এবং DA ঘোষণা করেছে। যদিও বাংলার সরকারি কর্মীরা এখনো অবধি এই সুখ থেকে রীতিমতো বঞ্চিত। একদিকে যখন কেন্দ্র থেকে শুরু করে কিছু রাজ্য সরকার ৫০-৫৩ শতাংশ হারে মহার্ঘ্য ভাতা দিয়ে দিচ্ছে সেখানে তার অনেকটা অংশের কম টাকা পাচ্ছেন বাংলা সরকারি কর্মীরা। আর এই নিয়ে সকলের মধ্যেই রীতিমতো ক্ষোভের সঞ্চার ঘটছে। তবে এসবের মাঝে সরকারী কর্মীদের উপহার দিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। দীপাবলির ঠিক আগে রাজ্য সরকারের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের ডিএ বৃদ্ধি করার ঘোষণা করেছেন তিনি। ক্যাবিনেট বৈঠকের পরেই নেওয়া হয়েছে এই সিদ্ধান্ত।
বড় ঘোষণা সরকারের
সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ক্যাবিনেট মিটিংয়ের পরেই কর্মীদের বর্ধিত ভাতা বৃদ্ধি করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানিয়েছেন যে এই ভাতা জুলাই মাস থেকে কার্যকর বলে গণ্য করা হবে। এবং আগমী অক্টোবর মাসের বেতনের সঙ্গে বর্ধিত প্রাপ্য জুড়ে দেওয়া হবে।
অসম মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সাংবাদিক বৈঠকে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছেন, “এর ফলে মোট ডিএ হবে ৫৩ শতাংশ, যা কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের সমান। ডিসেম্বর থেকে সংশোধিত ডিএ দিয়ে বেতন পাবেন কর্মীরা।” চারটি কিস্তিতে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ-র টাকা দেওয়া হবে।
উপকৃত হবেন বহু সরকারি কর্মী
মন্ত্রিসভা আসাম চা বাগান প্রভিডেন্ট ফান্ড স্কিমের পুরানো বিধানটি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আওতায় চা বাগানের শ্রমিকরা যাদের মাসিক মজুরি ১৫ হাজার টাকার বেশি তারা পিএফের সুবিধা নিতে পারতেন না। একই সঙ্গে এবার চা বাগানের শ্রমিকদের জন্য সামাজিক সুরক্ষা বেষ্টনী সম্প্রসারণ করল অসম মন্ত্রিসভা।
মুখ্যমন্ত্রির মতে, “যেহেতু এখন শ্রমিকদের মজুরি বাড়ছে, আমরা চাই না কেউ পিএফ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হোক। আসাম চা বাগান প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যান্ড পেনশন ফান্ড স্কিম, ১৯৬৮-এর ২২ ও ২৯ নম্বর অনুচ্ছেদে সংশোধনী অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এর ফলে ১৫ হাজারের বেশি বেতন পাওয়া কর্মীদের কাছ থেকে পিএফ কাটার ক্ষেত্রে অসঙ্গতি দূর হবে। সুতরাং বেতন বন্ধনী নির্বিশেষে সমস্ত কর্মচারী প্রভিডেন্ট ফান্ডের সুবিধা পাওয়ার অধিকারী হবেন।”