প্রীতি পোদ্দার বাঁকুড়া: চলতি বছর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁয়ের (Saumitra Khan) বিপরীতে লড়াই করতে নেমেছিলেন তাঁরই প্রাক্তন স্ত্রী সুজাতা মণ্ডল । তিনি লড়াই করেছিলেন তৃণমূলের তরফ থেকে। ভোট গণনার শুরু থেকেই এই কেন্দ্রে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের চিত্র উঠে এসেছিল শিরোনামে। এমনকি শেষ রাউন্ড পর্যন্ত এখানে বিজেপি প্রার্থীকে জোর লড়াই দেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল। তবে, পরিকল্পনা সফল হল না। অবশেষে মাত্র ৫৫৬৭ ভোটের ব্যধানে হারতে হয় তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীকে। আর সেই রাগ তিনি ফের প্রকাশ করলেন এক বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠানে।
ঘটনাটি কী ঘটেছিল?
গতকাল অর্থাৎ সোমবার, বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে একটি বিজয়া সম্মেলনীর আয়োজন করা হয়েছিল। সেই বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চলতি বছরের লোকসভা নির্বাচনের বিষ্ণুপুর লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল। কিন্তু এই সম্মেলনী অনুষ্ঠানে তিনি উগরে দিলেন ভোটে না জেতার রাগ। দলেরই কিছু ধান্দাবাজ জালিয়াতের জন্য নাকি বিরোধী দলের কাছে হেরে গিয়েছিলেন তিনি, এমনই দাবি সুজাতার।
যদিও এটি প্রথমবার নয়, এর আগে একাধিকবার সুজাতা মণ্ডল লোকসভা ভোটে হেরে যাওয়ার ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, তাঁর হারের জন্য নাকি দলের একাংশ দায়ী। এই হারের পিছনে একাধিক বিধায়ক রয়েছেন। বিজেপি প্রার্থী স্বীকার করেছেন, তাঁর সঙ্গে নাকি তৃণমূল নেতাদের যোগাযোগ ছিল। নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি জন্যই এই কাজ করা হয়েছিল।
বৈঠকে কী বলেছিলেন সুজাতা?
এদিকে এদিনের বৈঠকেও একই অভিযোগ তিনি তুলে ধরলেন। বৈঠকে সুজাতা বলেন, এই এলাকায় দলের এমন অনেক মানুষ রয়েছে, যাঁরা দল থেকে নির্বাচিত প্রার্থী পছন্দের না হলে তাঁকে হারানোর চিন্তা করে। তখন ভোটের জন্য দল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ছবিটা মনে আসে না। তাইতো বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে রাতের অন্ধকারে বসে ভোটের সেটিংয়ের খেলা খেলে।”
এখানেই থেমে যাননি তিনি। সুজাতা আরও বলেন যে, “আমি দলের কাছে ক্ষমা চাইছি এই গদ্দারদের আমি অতিরিক্ত সম্মান দিয়েছিলাম বলে। মানুষের চরিত্র হয়তো সময়ের সঙ্গে বদলে যায় কিন্তু আমাদের দলের কিছু ধান্দাবাজ জালিয়াত রয়েছেন যারা পদে আছে এবং একাধিক পদ ভোগ করছে বংশপরম্পরায়, তারা দলকে দেখে না উল্টে দলকে হারানোর চেষ্টা করে।”