শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ নতুন করে এক রহস্যময় জিনিস আবিষ্কার করে সকলকে তাক লাগিয়ে দিলেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা। এবার ভারতীয় বিজ্ঞানীরা এমন এক জিনিসের খোঁজ পেলেন, যা গোটা বিশ্বকে অবাক করে দিয়েছে। আসলে ভারতীয় বিজ্ঞানীরা অসীম মহাবিশ্বে একটি নতুন গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন, যা কিনা আগামী দিনে পৃথিবীর মতো বাসযোগ্য হতে পারে। ফিজিক্যাল রিসার্চ ল্যাবরেটরির (পিআরএল) গবেষকরা এই ঐতিহাসিক আবিষ্কার করেছেন। শুধু তাই নয়, গবেষকরা ওই গ্রহের একটি নামকরণ অবধি করেছেন।
নতুন গ্রহের সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা
আসলে ভারতীয় বিজ্ঞানীরা যে নতুন গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন, সেটির নাম দিয়েছেন TOI-6651b। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। বিজ্ঞানীদের দাবী, এই গ্রহটি পৃথিবীর চেয়ে প্রায় পাঁচ গুণ বড়। এর সূর্য আমাদের সূর্যের মতোই। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এর ভর পৃথিবীর চেয়ে প্রায় ৬০ গুণ বেশি। মহাবিশ্বের যে এলাকায় এই গ্রহটি আবিষ্কৃত হয়েছে তাকে বিজ্ঞানীদের ভাষায় নেপচুন মরুভূমি বলা হয়। ওই এলাকায় এমন কোনও গ্রহের সন্ধান পাওয়া বিরল।
এটি পিআরএলের বিজ্ঞানীদের চতুর্থ আবিষ্কার। এই আবিষ্কার বিশ্বব্যাপী মহাকাশ গবেষণায় ভারতের ক্রমবর্ধমান অবদানকে প্রতিফলিত করে। সবথেকে বড় কথা, এই টিওআই-৬৬৫১বি আবিষ্কার বিজ্ঞানীদের কৌতূহলও বাড়িয়েছে, কারণ এর গবেষণা গ্রহের গঠন ও বিবর্তন সম্পর্কে অনেক তথ্য সরবরাহ করতে পারে।
নেপচুনিয়ান মরুভূমি কি?
এটি মহাবিশ্বের এমন একটি রহস্যময় অঞ্চল যেখানে এই ভরের খুব কম গ্রহের অস্তিত্ব রয়েছে, তাই এই আবিষ্কারটি কে বিরাট বড় মাইলফলক হিসেবেই ধরা হচ্ছে। বিজ্ঞানীদের দাবি, কোন পরিস্থিতিতে এটি গঠিত হয়েছিল তা খুঁজে বের করার একটি বিরল সুযোগ। গ্রহটি ৫.০৬ দিনের চক্রে তার সূর্য TOI-6651 এর কক্ষপথ সম্পূর্ণ করে। যার অর্থ এই যে এর “বছর” পৃথিবীতে এক মাসের ভগ্নাংশও নয়। গ্রহটির সূর্য একটি জি-টাইপ দৈত্যাকার নক্ষত্র যা আমাদের সূর্যের চেয়ে সামান্য বড় এবং অত্যন্ত উত্তপ্ত। গ্রহের তাপমাত্রা প্রায় ৫৯৪০ কেলভিন।
গ্রহের বায়ুমণ্ডল কেমন
ভারতীয় গবেষকদের দাবি, গ্রহের ৮৭% পাথর দিয়ে ভরা এবং লোহার পদার্থ দিয়ে তৈরি। এর অবশিষ্ট অংশে হাইড্রোজেন ও হিলিয়ামের হালকা আস্তরণ রয়েছে। বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে এই গ্রহের অনন্য কাঠামো টিওআই -৬৬৫১ বি গঠনে অনন্য বিবর্তনীয় প্রক্রিয়া ঘটে থাকতে পারে। তবে এটি এখনও বিজ্ঞানীদের তদন্তের বিষয়।
টিওআই-৬৬৫১বি আবিষ্কার গ্রহ গঠন সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের বর্তমান চিন্তাভাবনা এবং তত্ত্বকে চ্যালেঞ্জ করে। ফলে এত বড় ও ঘন গ্রহ কীভাবে বিবর্তিত হলো তা নিয়ে এখন স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে। টিওআই-৬৬৫১বি ঘনিষ্ঠভাবে অধ্যয়ন করে বিজ্ঞানীরা গ্রহের ব্যবস্থার জটিলতা ভেদ করার চেষ্টা করবেন, যা মহাকাশের ক্ষেত্রে ভারতের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য হবে।