শ্বেতা মিত্র, নয়া দিল্লিঃ আমেরিকার ওপর বেজায় চটল ভারত। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। লড়াকু বিমান তেজস নিয়ে এবার আমেরিকার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। যারপরে ভারত ও মার্কিন মুলুকের সম্পর্কের ওপর ঘটনার প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এখন আপনিও নিশ্চয়ই ভাবছেন যে আমেরিকার বিরুদ্ধে কী এমন অভিযোগ উঠেছে? তাহলে বিশদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই লেখাটির উপর।
বিস্ফোরক অভিযোগ আমেরিকার বিরুদ্ধে
জানলে চমকে উঠবেন, তেজস যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন সরবরাহ নিয়ে গত দুই বছর ধরে ভারতের সঙ্গে নাকি প্রতারণা করছে আমেরিকা। এতে ভারতের সামরিক প্রস্তুতি বিরূপ প্রভাব পড়ছে। নতুন তেজস যুদ্ধবিমানের জন্য মার্কিন সংস্থা জেনারেল ইলেকট্রিকের (জিই) ইঞ্জিন প্রয়োজন ভারতীয় বায়ুসেনার। তবে গত দু’বছর ধরে ভারতকে তেজসের ইঞ্জিন সরবরাহ করেনি মার্কিন সংস্থাটি। এর ফলে ভারতীয় বায়ুসেনার যুদ্ধ প্রস্তুতিতে বিরাট প্রভাব পড়ছে। কোটি কোটি টাকার চুক্তি হলেও কাজের নাম লবডঙ্কা। তবে এবার আমেরিকার এই মনোভাবে বিরক্ত হয়ে জেনারেল ইলেকট্রিককে জরিমানা করল মোদী সরকার।
জরিমানা করল ভারত
জেনারেল ইলেকট্রিক তেজস এমকে ২এ থেকে এফ৪০৪-আইএন২০ ইঞ্জিন তৈরি করে। এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতীয় বিমানবাহিনী হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেডের কাছ থেকে বড় আকারে তেজস যুদ্ধবিমানের অর্ডার দিয়েছে। ২০২৪ সালের মার্চ মাসে এর ডেলিভারি শুরু হওয়ার কথা ছিল। এর আগে জানা গিয়েছিল যে ইঞ্জিনের সরবরাহ ২০২৪ সালের মার্চ থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল, তবে সরকারী সূত্র জানিয়েছে যে জিই ২০২৩ সালের মার্চ মাসে সরবরাহ শুরু করবে।
সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং সম্প্রতি আমেরিকা সফরে গিয়ে ইঞ্জিন সরবরাহে দেরি হওয়া নিয়ে কথা বলেছিলেন। এখন জিই ২০২৫ সালের মার্চ/এপ্রিলের মধ্যে ইঞ্জিন সরবরাহ শুরু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এর আগেই আমেরিকার এক বড় সংস্থাকে বিরাট বড় অঙ্কের জরিমানা করল ভারত সরকার। তবে জরিমানার পরিমাণ প্রকাশ করা হয়নি। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। সূত্রের খবর, জিইর সঙ্গে চুক্তিতে প্রতিটি বিতরণের সময়সূচীতে বিলম্ব অনুযায়ী জরিমানার বিধান রয়েছে। তবে এর আগেও আমেরিকার ওই সংস্থাকে জরিমানা করা হয়েছে বলে খবর।