প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: ২০১৯ সাল থেকে ধাপে ধাপে অনেক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণি চালু হয়ে গিয়েছে। ‘রাইট টু এডুকেশন’ এর আইন অনুযায়ী দেশের অনেক রাজ্যে পঞ্চম শ্রেণিকে প্রাথমিকের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু এরাজ্যে সেই প্রক্রিয়া খুবই শ্লথ গতিতে এগোচ্ছে। এবিষয়ে রাজ্যের স্কুলশিক্ষা দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মনের বক্তব্য, ‘আগামী শিক্ষাবর্ষে সমস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণি চালুর বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে হয়তো সমস্ত প্রাথমিকে তা চালু করা যাবে না।’ তাঁর সংযোজন, ‘প্রতি বছর যতটা সম্ভব পঞ্চম শ্রেণিকে প্রাথমিকের সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে।’ তবে জানা যাচ্ছে আগামী বছর থেকে তা কার্যকর হতে চলেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে কী জানানো হয়েছে?
সূত্রের খবর, গতকাল অর্থাৎ বুধবার, এই মর্মে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে স্কুল শিক্ষা দপ্তর। যেখানে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে যে, ২০২৫ সালের নতুন শিক্ষাবর্ষে জানুয়ারি মাস থেকেই প্রায় ২ হাজার ৩৩৫টি প্রাথমিক স্কুলে পঞ্চম শ্রেণি যোগ করা হবে। ইতিমধ্যে স্কুলশিক্ষা দফতর থেকে জেলা এবং কলকাতার সংশ্লিষ্ট প্রাথমিক স্কুল কর্তৃপক্ষকে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে সরকারি স্কুলের সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। তার মধ্যেই কয়েক হাজার স্কুলে সংযুক্ত হবে পঞ্চম শ্রেণী।
কোন কোন জেলায় পঞ্চম শ্রেণি যোগ হয়েছে?
জানা গিয়েছে, যে সকল জেলাগুলিতে পঞ্চম শ্রেণি যোগ করা হবে সেগুলি হল কলকাতার ৫২টি স্কুল। এছাড়া হাওড়ার ১৪৫টি, হুগলি ২০৮টি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার যথাক্রমে ১৯৮ এবং ৩২৭টি, পূর্ব মেদিনীপুরে ৬১টি, পশ্চিম মেদিনীপুরে ৬৫টি, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানের যথাক্রমে ৮৩টি এবং ৮৭টি, বীরভূমের ১১৯টি, বাঁকুড়ার ৪৫টি, পুরুলিয়ার ২৪টি স্কুল। বাদ নেই উত্তরবঙ্গও। জলপাইগুড়ির ২৭টি, মালদহের ২২৯টি, উত্তর এবং দক্ষিণ দিনাজপুর ৭৯ এবং ১৭টি, কোচবিহারের ২৫টি প্রাথমিক স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিকে যুক্ত করা হবে।
এছাড়াও পঞ্চম শ্রেণিকে প্রাথমিক স্কুলের অন্তর্ভুক্ত করার পাশাপাশি আরও ৫০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে। সে কারণে গত জুলাই মাসে ডিআইদের বলা হয়েছিল, প্রাথমিকে পঠনপাঠনের নতুন বিন্যাসের জন্য কোথায় কী কী প্রয়োজন, তার তালিকা তৈরি করা হোক। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারকে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করার প্রস্তাব দেয় স্কুলশিক্ষা দপ্তরকে।