শ্বেতা মিত্র, বনগাঁঃ অবশেষে বাংলায় সকলের জন্য খুলে গেল আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ও কার্গো গেট। আর এখানে এলে আপনি দেখতে পাবেন পশ্চিমবঙ্গের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অবস্থিত দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম স্থলবন্দর পেট্রাপোল এখন আরও ঝাঁ চকচকে হয়ে উঠেছে। এই টার্মিনাসে এলে আপনি ধরতে পারবেন না যে এটা বিমানবন্দর না অন্যকিছু। এই জায়গায় এমন কোনো সুবিধা হয়তো বাকি নেই যা নেই। ইতিমধ্যে বঙ্গ সফরে এসে এই আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ওই কার্গো গেটের উদ্বোধন করে গিয়েছেন। সেইসঙ্গে ভারত ওই বাংলাদেশের মানুষের কাছে এই পেট্রাপোল সীমান্তে তৈরী হওয়া আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ওই কার্গো গেটের গুরুত্ব আরও কয়েক গুণ বেড়ে যাবে বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
ঝাঁ চকচকে আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ও কার্গো গেট
সদ্য উদ্বোধন হওয়া বনগাঁর পেট্রাপোল সীমান্তের আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ও কার্গো গেট দেখলে আপনারও চোখ ছানাবড়া হয়ে যাবে। জানা গিয়েছে, এই তিন তলা ঝা চকচকে টার্মিনাল তৈরি করেছে শাপুর্জি পালোনজি সংস্থা। দৈনিক ২০০০০ যাত্রী যাতায়াত করতে পারবে।
কী কী রয়েছে
এখানে রয়েছে ইমিগ্রেশন কাউন্টার, সিকিউরিটি চেক পয়েন্ট, ওয়েটিং এরিয়া, ডিউটি ফ্রি দোকান, ক্যাফে, কারেন্সি এক্সচেঞ্জ, ওষুধের দোকান, কনভেয়ার বেল্ট, অফিস স্পেস, কার পার্কিং সহ যে কোনো এয়ারপোর্টে যা যা ব্যবস্থা থাকা সম্ভব সবই রয়েছে। ভারত বাংলাদেশ পেট্রাপোল সীমান্ত ইতিমধ্যে দেশের মধ্যে ব্যস্ততম ল্যান্ড বর্ডার। এই টার্মিনালটি হওয়ার ফলে দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা বাণিজ্য, পর্যটকদের আগমন আরো সুগম হয়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে।
রবিবার এর উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পেট্রাপোলে নির্মিত এই নতুন যাত্রীবাহী ভবন এবং মৈত্রী গেটকে উভয় দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে বর্ণনা করেছেন। এসব সুবিধার কথা বলতে গিয়ে এলপিএআই কর্মকর্তারা জানান, পেট্রাপোলে প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার মানুষ যাতায়াত করে। এদের বেশিরভাগই চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসে। যেখানে কার্গো গেট থেকে প্রতিদিন প্রায় ৭০০ ট্রাক চলাচল করে। দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম পেট্রাপোল হওয়া সত্ত্বেও এখানে অনেক মৌলিক সুযোগ-সুবিধার অভাব ছিল।