শ্বেতা মিত্রঃ দীপাবলির আবহে ফের একবার পোয়া বারো হল রাজ্য সরকারি কর্মীদের। ভাইফোঁটার আগে এক ধাক্কায় ফের বেশ খানিকটা মহার্ঘ্য ভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন একদম। এমনিতে দীপাবলি, ভাইফোঁটা নিয়ে সাধারণ মানুষের উত্তেজনা তুঙ্গে রয়েছে। সেখানে এবার সরকার এমন এক ঘোষণা করেছে যারপরে সকলের আনন্দ দ্বিগুণ বেড়ে গিয়েছে। অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় ত্রিপুরা রাজ্য সরকার সবচেয়ে বেশি মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা করল। ত্রিপুরা রাজ্য সরকার ১ লক্ষ ৮৮ হাজার কর্মচারী এবং পেনশনভোগীদের ৫ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বড় সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের
ত্রিপুরা সরকারের খাদ্য ও নাগরিক সরবরাহ পরিবহন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘উৎসবের আবহে সাহায্যের জন্য আমরা ১,৮৮,০০০ কর্মচারীকে মহার্ঘ ভাতা (DA) এবং মহার্ঘ ত্রাণ (ডিআর) দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দুটিই ২০২৪ সালের ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হবে।’ স্বাভাবিকভাবেই সরকারের এহেন সিদ্ধান্তের কারণে সকলের মধ্যে খুশির আমেজ বিরাজ করছে।
উপকৃত হবেন ২ লক্ষেরও বেশি কর্মী
অর্থ দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্তের ফলে উপকৃত হবেন ১.৬ লক্ষ সরকারি কর্মী এবং ৮২ হাজার পেনশনভোগী। খাদ্য ও নাগরিক সরবরাহ মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, অতিরিক্ত ৫ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা থেকে প্রায় ২ লাখ কর্মচারী এবং পেনশনভোগীরা উপকৃত হবেন। ১ নভেম্বর থেকে সরকারি কর্মচারী ও পেনশনভোগীদের জন্য ৫ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধির প্রস্তাব অনুমোদন করেছে মন্ত্রিপরিষদ। বর্ধিত ডিএ-র জন্য রাজ্য সরকারকে বছরে অতিরিক্ত ৫০০ কোটি টাকা খরচ করতে হবে।
তিনি বলেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যে ভয়াবহ বন্যার পরে কঠোর আর্থিক পরিস্থিতি এবং পুনরুদ্ধার কাজে সরকারের ১,৭০০ কোটি টাকা ব্যয় সত্ত্বেও এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছেন। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কর্মচারীদের মধ্যে মহার্ঘ ভাতার ব্যবধান কমাতেই ৫ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সুশান্ত চৌধুরী। বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা ৫৩ শতাংশ ডিএ পান।