‘দয়া করে বিদ্যুৎ বন্ধ করবেন না’, আদানির কাছে কাতর আবেদন বাংলাদেশের

Published on:

bangladesh electricity adani

শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ বাংলাদেশে বিদ্যুৎ বিতর্ক যেন থামতেই চাইছে না। এমনিতে ভারতের তরফে বাংলাদেশকে বিদ্যুতের টাকা পরিশোধ নিয়ে ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছে। আগামী ৭ নভেম্বরের মধ্যে আদানি পাওয়ারের বকেয়া ৭০,০০০ কোটি টাকা পরিশোধ না করলে আর বিদ্যুৎ পাঠানো হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। এহেন অবস্থায় এবার ভারতের হাতে পায়ে পড়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হল বাংলাদেশের। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার আদানি পাওয়ারের কাছে বিশেষ আর্জি জানানো হয়েছে। এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন কী সেই আর্জি? তাহলে বিশদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই লেখাটির ওপর।

আদানির কাছে বিশেষ আর্জি বাংলাদেশের

WhatsApp Community Join Now

বিদ্যুৎ নিয়ে ভারতের কাছে ঋণের পাহাড় জমে গিয়েছে বাংলাদেশের। আর সেই টাকা সময় মতো শোধ না করায় বেঁকে বসেছে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী আদানি গোষ্ঠী। প্রয়োজনের তুলনায় এখন অনেক কম বিদ্যুৎ নাকি বাংলাদেশকে সরবরাহ করছেন আদানি। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। তবে এসবের মাঝেই এবার বাংলাদেশকে ডেডলাইন বেঁধেও দেওয়া হয়েছে আদানি পাওয়ারের তরফে। যদিও বাংলাদেশের তরফে এই টাকা পরিশোধের জন্য আরও বেশ কিছুটা সময় চাওয়া হয়েছে। এদিকে শোনা যাচ্ছে, আদানি পাওয়ারও নাকি বাংলাদেশের এই আর্জিতে সায় দিয়েছে।

৭ নভেম্বরের মধ্যে দিতে হবে টাকা!

আগামী ৭ নভেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশকে বকেয়া পরিশোধ করতে বলেছে আদানি গ্রুপ। এটি করা না হলে আদানি পাওয়ার বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেবে। এটা হলে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সংকট দেখা দিতে পারে। বর্তমানে আদানি পাওয়ার বাংলাদেশে অর্ধেক সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। অনেকেই হয়তো জানেন তো আবার অনেকেই হয়তো জানেন না যে আদানি পাওয়ার বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। যদিও এখন বাংলাদেশের কাছে আদানি পাওয়ারের পাওনা ৮৫ কোটি ডলার, ভারতীয় মুদ্রায় যা কিনা প্রায় ৭২০০ কোটি টাকা। এই পরিমাণ দাবি নিয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনা করলেও কোনো সুরাহা হয়নি।

এমন পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করার কথা বলেছে আদানি। এক রিপোর্ট অনুযায়ী, আদানি বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে (বিপিডিবি) বকেয়া অর্থ পরিশোধ এবং পেমেন্টের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ১৭ কোটি ডলারের একটি ঋণপত্র (এলসি) দিতে বলেছিল। এটি সরবরাহের সময়সীমা ছিল ৩১ অক্টোবর। এদিকে ইউনুসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানান, ইতিমধ্যে আদানি পাওয়ারকে গত আগস্ট মাসে ১০ কোটি ডলার দেওয়া হয়েছে। এরপর বাকি ৭০ কোটি ডলার মেটানর চেষ্টা চলছে। কিছুদিনের মধ্যে সেই বকেয়া টাকাও কিন্তু মিটিয়ে দেওয়া হবে।’

সঙ্গে থাকুন ➥
X