প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: অফিস টাইমে বাস,অটো নিয়ে নানা সমস্যায় পড়তে হয়। ঠিক টাইমে বাস অটো না পেলে লেট হতে হয় অফিসযাত্রীদের। কিন্তু এদিকে আবার ১৫ বছরের পুরনো বাস নিয়ে রীতিমতো বিড়াম্বনায় পড়েছে রাজ্য সরকার। যার ফলে এক ধাক্কায় কমতে চলে অসংখ্য বাস। এদিকে যে অনুপাতে বাস কমতে পারে সেই অনুপাতে নতুন বাস আসবে কি না তা নিয়ে সংশয় লেগেই রয়েছে। এদিকে গোটা বিষয়টি কলকাতা হাইকোর্টে জানানো হলে বিস্ফোরক মন্তব্য প্রেরণ করেন বিচারপতি।
রাজ্য পরিবহণ দফতরের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা!
রাজ্য পরিবহণ দফতরের নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল যে, বাসের বয়স ১৫ বছর হলেই তা পুরোপুরি বাতিল করতে হবে। কিন্তু বাসচালকরা এই সিদ্ধান্তকে একদমই সমর্থন করেনি। তাই রাজ্য পরিবহণ দফতরের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে যান কলকাতার একটি রুটের বাসমালিকেরা। সেখানে ২৪ নম্বর রুটের প্রায় ৩৯টি বাসের মালিক ওই নির্দেশ নিয়ে আপত্তি তোলেন। ওই মামলায় তাঁদের দাবি ছিল যে, কোভিডের কারণে অনেক দিন বাস চলাচল বন্ধ ছিল। তাই ১৫ বছরের বেশি বয়সি অনেক বাসের স্বাস্থ্য এখনও ভাল রয়েছে। সেগুলিকে চালানোর অনুমতি দেওয়া হোক।
রাজ্যের উপরেই সিদ্ধান্তের ভার চাপিয়েছে হাইকোর্ট
কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, বাসচালকদের পক্ষে মতামত দিল না হাইকোর্ট। গতকাল অর্থাৎ সোমবার, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশ দেন যে মামলাকারীর আবেদন মেনে রাস্তায় ১৫ বছরের জায়গায় ১৭ বছরের পুরনো বাসও চালানো যাবে কি না, তা বিবেচনা করবেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। এবং আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এই বিষয়টি নিয়ে তাঁকে বিবেচনা করতে হবে। অর্থাৎ রাজ্যের উপরেই সিদ্ধান্তের ভার চাপিয়েছেন বিচারপতি। কিন্তু বাসচালদের দাবি মানতে নারাজ মুখ্যসচিব। তাঁর মতে ২৪ নম্বর রুটে মেয়াদ উত্তীর্ণ বাস চলাচলের অনুমতি দিলে রাজ্যের বাকি বাস রুটের মালিকেরা একই দাবি তুলতে পারেন।
এদিকে আশঙ্কা করা হচ্ছে ১৫ বছরের পুরনো বাস যদি বাতিল করে দেওয়া হয় তাহলে আগামী বছর মার্চ মাস থেকে অত্যাধিক সমস্যায় পড়তে পারে বাসযাত্রীরা। সেই সঙ্গেই বাস মালিকদেরও নানা সমস্যা দেখা দেবে। কিন্তু দূষণের কথা মাথায় রেখে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল এর নির্দেশের পথেই হয়ত হাঁটবে মুখ্যসচিব।