প্রীতি পোদ্দার: একেতেই নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম অত্যাধিক হারে বেড়েই চলেছ। তার উপর নভেম্বর মাস পড়তে না পড়তেই মাথায় হাত পড়েছে আম জনতার। কলকাতায় এক লাফে ৬১ টাকা বেড়ে গিয়েছে LPG গ্যাস সিলিন্ডারের দাম। কিন্তু এই মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে বাণিজ্যিক রান্নার গ্যাসের ক্ষেত্রে অর্থাৎ ১৯ কেজি ওজনের সিলিন্ডারের ক্ষেত্রে। তবে কলকাতা সহ দেশের অন্যত্র ঘরোয়া গ্যাস সিলিন্ডারের দাম অপরিবর্তিতই রাখা হয়েছে। আর এই আবহেই গ্রাহকদের সুরাহা দিতে ৪৫০ টাকায় LPG গ্যাস সিলিন্ডার প্রদানের ওপর জোর দিতে চলেছে রাজ্য সরকার।
কম দামে গ্যাস সিলিন্ডার দিচ্ছে রাজ্য সরকার
দিনের পর দিন জিনিসপত্রের দাম যেভাবে ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে তাতে বেশ উদ্বেগ এবং চিন্তার মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। তার উপর চাকরির এই বেহাল দশা। তাই এই দুর্দশায় খানিক স্বস্তি আনতে রাজ্য সরকার ৪৫০ টাকায় LPG গ্যাস সিলিন্ডার প্রদানে সিদ্ধান্ত নিল। তবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার নয়, এই উদ্যোগ নিতে চলেছে রাজস্থান সরকার। রাজস্থান সরকার ন্যাশনাল ফুড সিকিউরিটি স্কিম অর্থাৎ NFSA এর অধীনে পরিবারের জন্য একটি নতুন সুবিধা চালু করেছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে, উজ্জ্বলা এবং বিপিএল সংযোগ না থাকলেও রাজ্য সরকার জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা আইনের আওতায় থাকা সমস্ত পরিবারকে ৪৫০ টাকায় গ্যাস সিলিন্ডার সরবরাহ করবে। যার ফলে লাখ লাখ পরিবারের রান্নাঘরের বাজেট অনেকটাই কমে যাবে।
এই কাজ করলেই মিলবে ৪৫০ টাকার গ্যাস!
জানা গিয়েছে রাজ্যের প্রায় ৬৮ লক্ষ পরিবার NFSA-এর আওতায় আছে। আর এই সুবিধাটি অ্যাক্সেস করার জন্য, পরিবারের সকল সদস্যের আধার কার্ড NFSA রেশন কার্ডের সঙ্গে তাঁদের LPG আইডি সহ লিঙ্ক অবশ্যই করতে হবে। এই প্রক্রিয়াটি ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রশাসনের তরফে দেওয়া বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী জানা গিয়েছে চলতি বছরের ৫ থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত রাজ্যের সমস্ত জেলা জুড়ে LPG আউটলেট প্রচার করা হবে সুবিধাভোগীদের কাছে পৌঁছানোর জন্য। এবং গ্রাহকদের উদ্দেশে এও বলা হবে যে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে নিকটবর্তী রেশন দোকানে গিয়ে POS মেশিনের মাধ্যমে প্রতিটি NFSA পরিবারের আওতাভুক্ত সকল সদস্যের আধার নম্বর, ই-কেওয়াইসি এবং LPG আইডি সংযোগ করে নেওয়ার কথা।
উল্লেখ্য, সরকার যদি ৪৫০ টাকায় সিলিন্ডার দিয়ে থাকে রাজ্যবাসীকে তাহলে রাজ্যের আর্থিক তহবিলে প্রায় ২০০ কোটি টাকার বার্ষিক বোঝা পড়বে। তবে সেই সকল অসুবিধায় কোনও ভ্রূক্ষেপ না করে, শুধুমাত্র আমজনতার সহায়তার কথা ভেবেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।