‘ইচ্ছাকৃত জালিয়াতি’, আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্যকে তীব্র ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

Published on:

calcutta high court

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: আবাস যোজনার (Pradhan Mantri Awas Yojana) টাকা নিয়ে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে দীর্ঘ দিন ধরেই হয়ে আসছে। যার ফলে দুই বছর ধরে কেন্দ্রীয় সরকারও আবাস যোজনার বরাদ্দ টাকা বন্ধ করে দিয়েছিল। সেই কারণে রাজ্য ও কেন্দ্রের মধ্যে বিস্তর চাপানউতোরও চলেছে। শেষে, লোকসভা ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন যে কেন্দ্রের ওপর ভরসা না করে রাজ্যই নিজস্ব কোষাগার থেকে এই টাকা রাজ্যবাসীকে দেবে। আগামী ২০ ডিসেম্বরে আবাস যোজনার প্রথম কিস্তির টাকা রাজ্য সরকারই দেবে। সেই মতো রাজ্যের সমস্ত জেলায় শুরু হয়েছে এই প্রকল্পের সমীক্ষা। কিন্তু এই আবহেই এবার আবাস যোজনার আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে হাইকোর্টে মামলা উঠল।

আবাস যোজনার টাকা না মেলায় পঞ্চায়েতের দ্বারস্থ উপভোক্তারা

WhatsApp Community Join Now

জানা গিয়েছে ঘটনাটি ঘটেছে ক্যানিং ১ নম্বর ব্লকের ইটখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের। ২০২১ সালে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকার জন্য আবেদন করেছিলেন ক্যানিং ১ নম্বর ব্লকের ইটখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের সিরাজুল মণ্ডল-সহ পাঁচ বাসিন্দা। তাঁদের দাবি দীর্ঘদিন ধরে টাকা না আসায় পঞ্চায়েতের দ্বারস্থ হন মামলাকারীরা। তখন পঞ্চায়েত থেকে তাঁদের জানানো হয় টাকা আসেনি।

কিন্তু কিছুদিন পরেই পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, তাঁরা টাকা পাওয়ার জন্য যোগ্য ব্যক্তি নন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৩ সালে আদালতে মামলা করা হয়। এই মামলায় স্বাধীন তদন্তকারী সংস্থাকে তদন্তভার দেওয়ার আর্জি জানানো হয়। আর এবার সেই ব্যাপারে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রবি কিষাণ কাপুর।

রাজ্যকে তীব্র ভর্ৎসনা বিচারপতির

এদিন বিচারপতি আবাস যোজনার এই মামলায় রিপোর্ট ভালো করে পর্যবেক্ষণ করে রীতিমত ভর্ৎসনা করেন রাজ্য সরকারকে। রিপোর্ট দিয়ে রাজ্য জানায়, মামলাকারী ৫ জনের টাকাই ভুল অ্যাকাউন্টে গিয়েছে। বিচারপতি রবি কিষাণ কাপুর জানান, ‘এটা সম্পূর্ণ ইচ্ছাকৃত জালিয়াতি’। শীঘ্রই ঘটনায় বিডিও এবং পঞ্চায়েত প্রধানের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর তলব করতে হবে। এবং অবিলম্বে ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে হবে বলে নির্দেশ দেন তিনি।

সঙ্গে থাকুন ➥
X