শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ গঙ্গার নিচে দিয়ে মেট্রোর (Kolkata Metro) পর এবার গঙ্গার নিচে তৈরী হবে রাস্তা। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। বিগত বেশ কিছু মাস ধরে গঙ্গার নিচে দিয়ে ছুটছে মেট্রো। ভারতের মধ্যে এই প্রথম গঙ্গার নিচের দিয়ে মেট্রো ছুটতে দেখা যাচ্ছে বাংলায়। এদিকে কলকাতা মেট্রো তরফে উদ্যোগ তাক লাগিয়ে দিয়েছে সকলকে। তবে এবার গঙ্গার নিচে দিয়ে ছুটতে দেখা যাবে বড় বড় ট্রাককে। মূলত হাওড়া ব্রিজের ওপর চাপ কমাতে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে যে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে সেটা অনুযায়ী এবার হাওড়ায় থাকা গঙ্গার নিচে দিয়ে একটি বিশেষ সুরঙ্গ তৈরি করা হবে সেই সুরঙ্গ ধরে চলাচল করবে একটা ভারি ভারি ট্রাক। আরো বিশদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই প্রতিবেদনটির ওপর।
এবার গঙ্গার নিচে তৈরি হবে রাস্তা!
এমনিতে হাওড়া ব্রিজ বাংলার মানুষের কাছে এই আলাদাই ইমোশনের জায়গা। কলকাতা থেকে হাওড়া কিংবা হাওড়া থেকে কলকাতা শহরে ঢোকার ক্ষেত্রে এই ব্রিজের অবদান ভোলার নয়। বছরের পর বছর ধরে নানা ইতিহাসের সাক্ষী থেকেছে এই ব্রিজ। বর্তমানে এই ব্রিজটির ওপর দিয়ে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ বাস, ট্রাক, অন্যান্য গাড়ি চলাচল করে। এদিকে এত পরিমাণে বাস ট্রাক অন্যান্য গাড়ি চলাচলের ক্ষেত্রে যথেষ্ট পরিমাণে হাওড়া ব্রিজের ওপরে যে চাপ পড়ছে সেটা বলাই বাহুল্য এখানে অবস্থায় এই এরকম চাপ কমাতে বড়সড়ো সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার। প্রধানমন্ত্রী গতিশক্তি প্রকল্পের আওতায় গঙ্গার নিচে দিয়ে একটি বিশেষ ধরনের রাস্তা বা সুরঙ্গ তৈরি করা হবে যার মধ্য দিয়ে ভারী ভারী ট্রাক চলাচল করবে।
কবে কাজ শুরু হবে?
এখন আপনি নিশ্চয়ই ভাবছেন যে এই কাজ কবে শুরু হবে? তাহলে জানিয়ে রাখি, আগামী বছর থেকেই সেই কাজ শুরু হয়ে যেতে পারে। এ নিয়ে রাজ্যের সঙ্গেও কেন্দ্রের প্রাথমিক কথাবার্তা হয়ে গিয়েছে। তবে শেষ হতে কত দিন লাগতে পারে, তা এখনও অবধি কিছু বলা যাচ্ছে না। রুট সম্পর্কে বলল, কলকাতার দক্ষিণ প্রান্তে মেটিয়াবুরুজ থেকে হাওড়া যাওয়ার প্রস্তাবিত সুড়ঙ্গ মূলত ট্রাক যাতায়াতের জন্যই তৈরি হবে। এর ফলে বন্দর এলাকার ট্রাক হাওড়া হয়ে বিভিন্ন জাতীয় সড়ক ধরে রাজ্যের অন্যত্র যেতে পারবে।
উল্লেখ্য, এই সুড়ঙ্গ তৈরী কাজের পরিকল্পনা কিন্তু নতুন নয়। গত ২০২২ সালেই এমন পরিকল্পনা করেছিল শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দর কর্তৃপক্ষ। এর পরে গঙ্গার তলা দিয়ে বন্দর এলাকায় ট্রাক যাতায়াতের জন্য সুড়ঙ্গ বানানো সম্ভব কি না, তার পরীক্ষা নিরীক্ষা শুরু হয়। ইতিমধ্যেই সেই কাজ শেষ হয়ে বন্দর, জাহাজ ও জলপথ মন্ত্রকে রিপোর্ট জমা পড়েছে। এই প্রসঙ্গে বড় দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। তিনি জানিয়েছেন, ‘খুব তাড়াতাড়ি কাজ শুরু হয়ে যেতে পারে। আপাতত যা ঠিক হয়েছে, তাতে ১১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে ওই প্রকল্পের জন্য। মোট ১৫ কিলোমিটার রাস্তা হবে। তার মধ্যে ৮ কিলোমিটার থাকবে সুড়ঙ্গপথ।’