আবাস যোজনায় দুর্নীতি, হাইকোর্টে স্বীকারোক্তি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের! অবাক খোদ বিচারপতি

Published on:

awas yojana calcutta high court

কলকাতাঃ পশ্চিমবঙ্গে দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ নতুন কিছু নয়। কখনও রেশনের চাল, ডাল নিয়ে দুর্নীতি। আবার কখনও শিক্ষা ক্ষেত্রে চাকরি নিয়ে দুর্নীতি। এছাড়াও রয়েছে কেন্দ্রের আবাস যোজনা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ। আর এবার খোদ পশ্চিমবঙ্গ সরকারও কলকাতা হাইকোর্টে স্বীকার করে নিল যে, রাজ্যে আবাস যোজনার (Pradhan Mantri Awas Yojana) টাকা নিয়ে নয়ছয় হয়েছে। নবান্নের এই স্বীকারোক্তিতে তাজ্জব খোদ বিচারপতিও। সরকার আবাস যোজনা নিয়ে দুর্নীতির কথা জেনেও কেন ফৌজদারি মামলা দায়ের করেনি, তা নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করেছেন বিচারপতি রবি কিষাণ কাপুর।

WhatsApp Community Join Now

আসলে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ক্যানিংয়ের ইটখোলা পঞ্চায়েতের হেড়োভাঙা গ্রামের একাধিক বাসিন্দা অভিযোগ করেছিলেন যে, তাঁরা আবাস যোজনায় আবেদন করেও টাকা পাননি। অভিযোগকারীরা জানিয়েছিলেন যে, তাঁদের জন্য বরাদ্দ টাকা অন্যের অ্যাকাউন্টে ঢুকে গিয়েছে। এরপর তাঁরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিচাপতি রবি কিষাণ কাপুরের বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি হয়।

হাইকোর্টে দুর্নীতির কথা স্বীকার রাজ্য সরকারের

হাইকোর্টে মামলা ওঠার পর রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে স্বীকার করে নেওয়া হয় যে, ওই পাঁচ অভিযোগকারীর অভিযোগের সত্যতা রয়েছে। রাজ্য জানায়, টাকা উদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। এরপর আদালত সংশ্লিষ্ট এলাকার BDO পঞ্চায়েত প্রধানকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেন। রাজ্যের কাছে বিচারপতি জানতে চান যে, আবাস যোজনার টাকা নয়ছয় হওয়ার অভিযোগ পেয়েও তাঁরা কেন ফৌজদারি মামলা দায়ে করেনি? আদালত জানায় যে, এটা ইচ্ছাকৃত ভাবেই করা হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান। অনিচ্ছাকৃত ভাবে হলে একজনের সাথে হত। পাঁচজনের সাথে নয়।

২০১১ সালে আবাস যোজনায় দুর্নীতি

উল্লেখ্য, এই ঘটনাটি নতুন নয়। ২০১১ সালে আবাসের টাকার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন ক্যানিংয়ের বাসিন্দা সিরাজুল মণ্ডল, সামসুল আলম মোল্লা, আক্রম মোল্লা, মাবুয়ালি মোল্লা ও সেলিম মোল্লা। তাঁরা জানান যে, আবাসের জন্য আবেদন করার পর তাঁরা টাকা না পেয়ে অন্যের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত প্রধান নিজের প্রভাব খাটিয়ে তাঁদের ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট নম্বর বদলে দিয়েছিলেন। এই ঘটনায় বিডিও, জেলাশাসক ও এসডিও এবং রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল, তারপরেই হাইকোর্টে মামলা করা হয়।

সঙ্গে থাকুন ➥
X