প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: প্রতিবার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন যাচাইকরণের সময় নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় বোর্ড এবং বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের। বিগত বছরগুলিতে দেখা গিয়েছে এই প্রক্রিয়ায় তথ্যে যথেষ্ট পরিমাণে ভুলভ্রান্তি থাকে। যার ফলে পরবর্তীকালে সমস্যায় পড়তে হয় পরীক্ষার্থীদের এবং বোর্ডকে। তাই এবার ফের শক্ত হাতে কঠোর পদক্ষেপ নিতে চলেছে WBBSE। নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন যাচাই, সংশোধন এবং সংযোজনের নতুন নির্দেশিকা জারি করল পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নয়া পদক্ষেপ!
সূত্রের খবর, চলতি বছর নবম শ্রেণির রেজিস্ট্রেশনের ভুলভ্রান্তি সংক্রান্ত এক বড় পদক্ষেপ নিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। ভুলভ্রান্তি জনিত কোনো তথ্য নির্ভুল এবং সঠিক করার সময়সীমা বৃদ্ধি করল পর্ষদ। জানা গিয়েছে ভেরিফিকেশনের জন্য আরও ১০ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। তাই চলতি মাসের ১১ থেকে ২০ নভেম্বরের মধ্যে এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে রাজ্যের সমস্ত স্কুলগুলিকে। অর্থাৎ ১১ নভেম্বর বেলা ১১টা থেকে ২০ নভেম্বর সন্ধে ৬ টা পর্যন্ত অনলাইন মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে। www.wbbsedata.com–এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নথিভুক্তির তথ্য যাচাই, সম্পাদনা এবং ডাউনলোডের কাজ করবে পর্ষদ।
কী বলছেন পর্ষদের সভাপতি?
এই প্রসঙ্গে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “নবম শ্রেণীর রেজিস্ট্রেশন একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া, যা সুস্পষ্টভাবে সম্পন্ন করতে হয়। সেখানে যাতে কোনও ভুলভ্রান্তি না থাকে এবং সমস্ত তথ্য যাতে সম্পূর্ণ নির্ভুল থাকে, তাই নির্দিষ্ট সময়সীমার পরেও বাড়তি সময় দেওয়া হয়। পাশাপাশি জন্মতারিখ, মা–বাবার নাম, ছবি, স্বাক্ষর এবং অন্য প্রাসঙ্গিক বিশদ বিবরণ–সহ স্কুলগুলিকে নবম শ্রেণির প্রতিটি পড়ুয়ার রেজিস্ট্রেশন সাবধানে পর্যালোচনা করতে বলা হয়েছে। তাই স্কুলগুলি যেন দায়িত্ব নিয়ে এই প্রক্রিয়া সময় মতো সম্পন্ন করে।”
অন্যদিকে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ায় নানা ভুলভ্রান্তি সংক্রান্ত খবর বারংবার খবরের শিরোনামে উঠে আসায় বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল জানান, “ প্রতি বছর মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নির্দেশিকা অনুযায়ী এত সাবধানতা অবলম্বন করা সত্ত্বেও কেন এত ভুল হয়! আমরা চাই, প্রতিটি স্কুল নির্ভুল ভাবে ছাত্রছাত্রীদের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করুক। শুধু তাই নয় বিভিন্ন স্কুলে কম্পিউটার এর প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে এবং ইন্টারনেট কানেকশন না থাকার কারণে নানা অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। এর একটা স্থায়ী সমাধান সরকারের পক্ষ থেকে তাই অবশ্যই করা উচিত।”