প্রীতি পোদ্দার: ফের উত্তপ্ত বাংলাদেশ। এবার টার্গেট Iskcon মন্দির। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশে ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে রণভূমিতে পরিণত হয়েছে চট্টগ্রাম । সেখানে হেফাজতে ইসলাম রীতিমত প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার, জুমার নামাজ শেষে নগরীর আন্দরকিল্লা জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে সংগঠনটির চট্টগ্রাম মহানগর শাখার পক্ষ থেকে এই সমাবেশ এবং বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে। প্রথমে সমাবেশ করা হয়েছিল তারপর দুপুর আড়াইটা নাগাদ হেফাজতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের তরফে বের করা হয় বিক্ষোভ মিছিল।
ইসকনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ হেফাজতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের
‘হুঁশিয়ার.. সাবধান.. তালা দেব ইসকনে’, এই স্লোগানে রীতিমত কেঁপে উঠছে চট্টগ্রামের বুক। চট্টগ্রাম এলাকার হাজারি লেনে এই বিক্ষোভ সমাবেশ দেখা যায়। কিছুদিন আগে এই হাজারি লেনেই ওসমান আলি নামে এক ব্যবসায়ীর উপর হামলা হয়। যৌথ বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলা ও অ্যাসিড নিক্ষেপেরও নিন্দা করা হয়। ঘটনার নিন্দা করে তাদের গ্রেফতারির দাবি জানানো হয়। কিন্তু সেক্ষেত্রে সকলের মনে প্রশ্ন জাগছে বিরোধিতার মাঝে কেন ইসকনকে কেন্দ্র করে এই পদক্ষেপের ডাক দিল হেফাজতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা।
বিক্ষোভের সমাবেশে সায়েম উল্লার বিস্ফোরক মন্তব্য
বেশিরভাগ মাদ্রাসার শিক্ষক ও ছাত্রদের নিয়ে গঠিত একটি ইসলামি গোষ্ঠী হেফাজত আন্দরকিল্লাহ মোড়ে সমাবেশ করে। এরপর সেখান থেকে চেরাগী পাহাড় মোড় হয়ে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে একটি মিছিল বের করে বিক্ষোভ দেখানো হয়। হেফাজতের সেন্ট্রাল অ্যাসিসটেন্ট পাবলিসিটি সেক্রেটারি সায়েম উল্লা এই বিক্ষোভের মাঝে দাবি করেন ,‘আমি পরিষ্কার করে দিতে চাই, ইসলাম কোনও হিন্দু সংগঠন নয়। এটি এটি সনাতনী বিরোধী উগ্রপন্থী গোষ্ঠী।’ তিনি আরও বলেন, ‘সনাতন ধর্মাবলম্বী ভাইদের বলছি, আপনারা ইসকনের ফাঁদে পা দেবেন না। বিভিন্ন জায়গায় দেখেছি, ইসকনের হাতে নির্যাতিত হয়েছেন। হাটহাজারীতে ইসকনরা সনাতন ধর্মাবলম্বী ভাইদের উচ্ছেদ করেছে। শুধু হাটহাজারী নয়, আরও অনেক জায়গায় হিন্দু ভাইদের জায়গা দখল করেছে এ ইসকনরা। এ ইসকনরা সারা বিশ্বের শত্রু।’ এদিনের এই সমাবেশ এবং বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন মৌলানা নূরনবী, আনোয়ার হোসেইনি, সালাউদ্দিন, আশরফ বিন ইয়াকুব, মহম্মদ রব্বানি।
বাংলাদেশে হঠাৎ করে ইসকন বিরোধী বিক্ষোভ এবং সমাবেশের পরিস্থিতি দেখে গত বুধবার ‘ইসকন, বাংলাদেশ’ আয়োজিত ঢাকার স্বামীবাগ আশ্রমে একটি সাংবাদিক বৈঠক থেকে দাবি করা হয়েছে যে, হাজারি লেনের ঘটনায় তাদের কোনও যোগ নেই। সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিলটি আন্দরকিল্লা মোড় থেকে নগরীর চেরাগী মোড় হয়ে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে গিয়ে শেষ হয়েছিল। তবে সেখানকার পরিস্থিতি এখনও অগ্নিগর্ভ।