শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ যত সময় এগোচ্ছে ততই ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ISRO -র মুকুটে একের পর এক নয়া পালক জুড়ে চলেছে। ফলে এখন সাড়া বিশ্বে ইসরোকে নিয়ে মানুষের আলোচনার শেষ নেই। তবে এসবের মাঝেই ইসরো চেয়ারম্যান এ সোমনাথ যা বললেন, তা শুনে চমকে গিয়েছেন সকলে। আপনারও কি ইসরোতে বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা রয়েছে? কত টাকা থেকে আপনি এখানে বিনিয়োগ করতে পারবেন জানেন? যদি না জেনে থাকেন তাহলে আপনার সেই সকল উত্তর দিলেন ইসরো চেয়ারম্যান।
কী বলছেন ইসরো চেয়ারম্যান?
ইসরো স্পেস এজেন্সিতে বিনিয়োগ করা অর্থ সমাজের উপকারে এসেছে কি না, তা নিয়ে সম্প্রতি একটি সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। এস সোমনাথ কর্ণাটক রেসিডেন্সিয়াল এডুকেশনাল ইনস্টিটিউট সোসাইটি কেরিসে পৌঁছেছিলেন। এখানে তিনি পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করে একটি বিশেষ এই বিবৃতি দেন। এ সময় ইসরোর ওপর করা একটি সমীক্ষা সম্পর্কে তিনি বলেন, ইসরোর পেছনে খরচ করা প্রতি এক টাকার জন্য অনেকে ২.৫০ টাকা ফেরত পেয়েছে।
ISRO -তে এক টাকার বিনিয়োগ
কর্ণাটক সরকারের সমাজকল্যাণ বিভাগ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগ এই ইন্টারেক্টিভ সেশনের আয়োজন করেছিল। সেখানে সোমনাথ বলেন, ‘ইসরোর লক্ষ্য দেশের সেবা করা, মহাকাশের মাঠে শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে শামিল হওয়া নয়। ইসরো যা করতে চায় তা করার স্বাধীনতা প্রয়োজন। ‘ তিনি বলেন, মহাকাশ প্রযুক্তির বাণিজ্যিক সুযোগ-সুবিধার জন্য একটি বাস্তুতন্ত্র গড়ে তোলার মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করা যেতে পারে। ইসরো চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, ‘চাঁদ সম্পর্কিত মিশন অত্যন্ত ব্যয়বহুল। এই পরিস্থিতিতে ইসরোর তহবিলের জন্য আমরা কেবল সরকারের উপর নির্ভর করতে পারি না।’
ISRO আরও অনেক কিছু করে: এস সোমনাথ
ISRO চেয়ারম্যানের মতে, ‘ইসরোর জন্য বাণিজ্যিক সুযোগ তৈরি করতে হবে। এটা চালিয়ে যেতে হলে ইসরোর যোগ্যতা প্রমাণ করতে হবে। অন্যথায়, আমরা যখন কিছু করব, সরকার আমাদের এটি বন্ধ করতে বলবে।’ তিনি বলেন যে ইসরো মহাকাশের কাজের চেয়ে অনেক বেশি কিছু করে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা মৎস্যজীবীদের জন্য অ্যাডভাইজরি জারি করি। মাছ কোথায় পাওয়া যায় তার জন্য কোন অবস্থানটি সঠিক তাও আমরা সুপারিশ করি। এটি জেলদের তাদের নৌকাগুলির জন্য প্রয়োজনীয় প্রচুর ডিজেল সাশ্রয় করতে দেয়।’