প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: দিন যত এগোচ্ছে টাকার দামের ক্ষেত্রে রেকর্ড হারে এর পতন হয়েই চলেছে। প্রতিদিনই ডলারের নিরিখে ভারতের মুদ্রার (Indian Rupee) মূল্য অনেকটাই কমছে। গত মাসে অর্থাৎ অক্টোবর মাস থেকেই দ্রুত টাকার দাম কমতে শুরু করেছে। ১১ অক্টোবর এক ডলারের দাম ভারতীয় টাকায় দাঁড়িয়েছিল ৮৩.৯৯। এর পরে ৩১ অক্টোবর থেকে ফের পতন হয়েছে টাকার দামের। সর্বকালীন নীচে নেমেছিল টাকার দাম ৮৪.১০। তারপর থেকে ক্রমেই আরও নেমেছে টাকার দাম।
টাকার দাম অনেকটাই কমে গিয়েছে!
সূত্রের খবর, আজ অর্থাৎ শুক্রবারও শেয়ার বাজার খোলার পর ডলারের নিরিখে ভারতীয় মুদ্রার দাম ৮৪.৪০ টাকায় পরিণত হয়েছে। পরে তা ১ পয়সা বৃদ্ধি পেয়ে পৌঁছয় ৮৪.৩৯ টাকায়। এর পরেই সেখান থেকে দর কমতে শুরু করে, দাঁড়ায় ৮৪.৪৩ টাকায়। এই বছরের এপ্রিল মাসে মার্কিন ডলারের বিপরীতে ভারতীয় মুদ্রার দর রেকর্ড সর্বনিম্ন ৮৩.৫৩ টাকা ছুঁয়েছিল। আসলে মধ্যপ্রাচ্যে তখন যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় মার্কিন মুদ্রার শক্তি ক্রমেই বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের মূল্যবৃদ্ধির জেরে ভারতীয় টাকার দামও নেমে গিয়েছে। কিন্তু ৭ মাসের মাথায় সেই সর্বনিম্ন দামের রেকর্ডও ছাড়িয়ে গেল।
দাম বৃদ্ধির অন্যতম কারণ ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তন?
আর এই টাকার দামে পতনের পিছনে উঠে আসছে একাধিক কারণ। আসলে গত এক মাসের বেশি সময় ধরে ভারতের শেয়ার বাজার থেকে লগ্নি সরিয়ে নিচ্ছেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। এ বছর অক্টোবর মাসে তা নতুন রেকর্ড গড়েছে। ভারতীয় শেয়ার বিক্রি করে ডলার কিনছেন তাঁরা। স্টক মার্কেটের পাশাপাশি তার প্রভাব পড়ছে টাকার দামেও। এছাড়াও গত কয়েক দিনে ডলারের দাম বেড়েছে আন্তর্জাতিক বাজারে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনও এই ভারতীয় টাকার দাম পতনের অন্যতম কারণ। এর ফলে বিদেশ ঋণ শোধের খরচ বাড়ছে।
এই ডলার বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের মতে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়া ও ভারতীয় শেয়ার বাজার থেকে বিদেশি পুঁজি বেরিয়ে যাওয়ার কারণেই ডলারের নিরিখে ভারতীয় মুদ্রার এই পতন হয়েছে বলে ধরা হয়েছে। ভারতীয় টাকায় লাভের অঙ্ক কমে গিয়েছে। শেয়ারের দরও পড়ছে গত কয়েকদিন ধরে। তাই আশঙ্কা করা হচ্ছে আগামী কয়েকদিনও এই দাম কমতে পারে আরও।