শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ DA বা মহার্ঘ ভাতা (Dearness Allowance) নিয়ে বাংলায় বিতর্কের অন্ত নেই। একদিকে যখন কেন্দ্রসহ অন্যান্য রাজ্যের সরকার নিজেদের কর্মীদের মহার্ঘ্য ভাতা বাড়িই চলেছে সেখানে বাংলার সরকারি কর্মীদের কপাল যেন খুলতে চাইছে না। বছরের পর বছর, মাসের পর মাস ধরে বকেয়া এবং বর্ধিত হারে DA বৃদ্ধির দাবিতে সরকারি কর্মীরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। তবে এইসবের মাঝেই এবার সুপ্রিম কোর্টে তরফে এমন একটি সার্কুলার জারি করা হল, যা দেখে চমকে গিয়েছেন সকলে। আপনিও যদি সরকারি কর্মচারী হয়ে থাকেন এবং সুপ্রিম কোর্ট কি এমন সার্কুলার জারি করেছে তা জানতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে চোখ রাখুন আজকের এই আর্টিকেলটির ওপর।
সুপ্রিম কোর্টে DA মামলা
বর্তমান সময়ে হাইকোর্টের গণ্ডি পেরিয়ে সুপ্রিম কোর্টে চলছে দিয়ে মামলার শুনানি। তবে সেই মামলার শুনানি বারবারই পিছিয়ে যাচ্ছে সুপ্রিম কোর্টে। এদিকে সুবিচারের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের দিকে তাকিয়ে রয়েছে হাজার হাজার চোখ। সুপ্রিম কোর্টে যে ডিএ মামলা চলছে, তা পঞ্চম বেতন কমিশনের আওতায় বকেয়া থাকা মহার্ঘ ভাতা নিয়ে। ২০১৬ সাল থেকে সেই বকেয়া ডিএ নিয়ে আইনি লড়াই চলছে। যাইহোক দেশের শীর্ষ আদালতের তরফে যে সার্কুলার জারি করা হয়েছে সেটা নিয়ে এবার বড়সড় তথ্য দিলেন রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠনের নেতা মলয় মুখোপাধ্যায়। ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে সুপ্রিম কোর্টের ডিএ মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। শুনানির যে বাংলা সরকারি কর্মীদের ওপর কোনো রকম প্রভাব পড়বে কিনা তা নিয়ে এবার বড় মন্তব্য করেছেন মলয় মুখোপাধ্যায়।
কী বলছেন মলয় মুখোপাধ্যায়?
কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় বলেছেন, ‘মঙ্গলবার, বুধবার এবং বৃহস্পতিবার কোনও রেগুলার ম্যাটার থাকবে না। শুধুমাত্র আফটার নোটিশ ম্যাটার থাকবে। মিসলেনিয়ার কেস বা রেগুলার কেস যদি স্পেশাল বেঞ্চে থাকে বা পার্ট হার্ড হয়, তাহলে দ্বিতীয়ার্ধে শুনানি হবে।’
তিনি আরও জানান, ‘সুপ্রিম কোর্টে যে ডিএ মামলা চলছে, তা আফটার নোটিশ ম্যাটার। ২০২৫ সালের ৭ জানুয়ারি মঙ্গলবার হওয়ায় পার্ট হার্ড ম্যাটার এবং স্পেশাল বেঞ্চ দ্বিতীয়ার্ধেই হবে। রেগুলার ম্যাটার নেই বলে (সুপ্রিম কোর্টে) মহার্ঘ ভাতার মামলার শুনানি ট্রান্সফার পিটিশন এবং বেল ম্যাটারের পরেই হবে অথবা টপ অফ দ্য লিস্টে থাকছে।’ ডিএ মামলার শেষ শুনানি হয়েছিল ১৫ ই জুলাই। তবে এবার আগামী বছরে এই মামলার শুনানি ধার্য করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এদিকে সুপ্রিম কোর্ট কী শুনানি করে সেদিকেই এখন চাতক পাখির মতন তাকিয়ে রয়েছেন সকলে।