শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে কেন্দ্র সরকারের টানাপড়েন হামেশাই জারি থাকে। বিভিন্ন কারণে কখনও রাজ্যের বিরুদ্ধে কেন্দ্র, কখনওবা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে রাজ্যে। টাকা বকেয়া রয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে এহেন অভিযোগ একাধিকবার শোনা গিয়েছে। উঠেছে কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার অভিযোগ। আরও একবার সেই অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় সরকারকে সরাসরি চিঠি পাঠানো হল রাজ্যের পক্ষ থেকে।
ফের কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের অভিযোগ, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের রেশনের জন্য রাজ্যের প্রাপ্ত টাকা এখনও বকেয়া রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই টাকা যাতে দ্রুত মিটিয়ে দেওয়া হয়, সেই আর্জি জানিয়ে পাঠানো হয়েছে চিঠি। কেন্দ্রের দেওয়া প্রস্তাব মতো রাজ্য পদক্ষেপ নিয়েছে, এমন উদাহরণ চিঠির সঙ্গে তুলে ধরা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের জন্য রাজ্য সরকারকে ১২ হাজার ৭১৪ কোটি টাকা পাঠানো হয়নি বলে অভিযোগ।
এই বকেয়া যাতে দ্রুত মিটিয়ে দেওয়া হয় সেই দাবি জানিয়ে কেন্দ্রীয় খাদ্য ও উপভোক্তা মন্ত্রলের গণবন্টন বিভাগের যুগ্ম অধিকর্তা জয় পাতিলকে চিঠি লিখেছেন বাংলার খাদ্য দফতরের বিশেষ সচিব। রেশন ব্যবস্থা সমাজের গরীব ও মধ্যবিত্ত বহু পরিবারের ভরসার বড় জায়গা। রাজ্যের আশঙ্কা, এই বিপুল পরিমাণ বকেয়া টাকা না মেটানো হলে রেশন ব্যবস্থা একেবারে ভেঙে পড়তে পারে।
ভেঙে পড়বে বাংলার রেশন ব্যবস্থা?
সাধারণত কেন্দ্রের প্রধানমন্ত্রী অন্ন যোজনার আওতায় রেশন ব্যবস্থা পরিচালনা করে থাকে কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্যের প্রায় ৬ কোটি মানুষকে দেওয়া হয় চাল, গম। গমের খরচ বহন করে ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া বা এফসিআই। আর চালের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা একটু অন্যরকম। চাষিদের কাছ থেকে ধান কিনে গুদামে জমা করা রাজ্য সরকার। ধান চাল মিলে পাঠিয়ে উৎপাদন করা হয় চাল। সেই চাল চলে যায় গুদামে। কেন্দ্র সরকার গুদামে রাখা এই চালের জন্য রাজ্যকে টাকা দিয়ে থাকে।
এবার বাংলা সরকারের অভিযোগ, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের জন্য এই খাতের পাওয়া টাকা কেন্দ্রের তরফে এখনও দেওয়া হয়নি। এদিকে এখন রেশনের স্লিপের সঙ্গে ছাপা হচ্ছে রেশনের হিসেব সহ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি। চিঠিতে নতুন ধরণের এই স্লিপের কথা রাজ্য তুলে ধরেছে বলে মিডিয়া রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।