প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: কালজয়ী লেখক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা এক অনবদ্য সৃষ্টি ‘পথের পাঁচালী’ (Pather Panchali)। আর বইয়ের পাতার সেই গল্পকেই চিত্রনাট্যের রূপ দিয়েছিলেন আরেক কিংবদন্তী পরিচালক সত্যজিৎ রায়। যেটি কিনা দেশ থেকে বিদেশের মাটিতে আজও সমাদৃত। সাদা-কালো ছবিতে অপু-দুর্গার সেই চরিত্র এতোটা নিপুণ করে তুলে ধরা হয়েছিল যে বহু বছর পর আজও সকলের মনের ক্যানভাসে রঙিন। সেই ছবিতে দুর্গার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী উমা দাশগুপ্ত। যদিও এতদিন গ্ল্যামার দুনিয়ার লাইম লাইট থেকে দূরে ছিলেন তিনি। কিন্তু আজ অর্থাৎ সোমবার চিরদিনের মত সকলকে ছেড়ে ইহলোক ছেড়ে পরলোকে গমন করলেন তিনি।
চিরবিদায় নিলেন দুর্গা
সূত্রের খবর, বেশ কয়েক দিন ধরে নানা বয়সজনিত কারণে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। বাইপাসের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। কিন্তু আজ সকলে কাঁদিয়ে দিয়ে সেই মধুমাখা হাসি নিয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন উমাদেবী। অভিনেত্রীর এই মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন অভিনেতা তথ্য তৃণমূল বিধায়ক চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী।
শোকের ছায়া নেমে পড়ল সিনে দুনিয়ায়
কয়েক মাস আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিনেত্রী উমা দাশগুপ্ত এর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়েছিল। বলা হয়েছিল তিনি নাকি প্রয়াত! আর সেই খবর ছড়াতেই সিনেদুনিয়ার অন্দরে শোরগোল শুরু হয়ে যায়। পরে জানা যায়, অভিনেত্রী দিব্যি সুস্থ রয়েছেন। এবং শান্তিনিকেতন থেকে বর্তমানে কলকাতাতেই থাকছে। কিন্তু আজ সেই গুজবকে সত্যি করে সকলকে ছেড়ে তিনি চলে গেলেন।
প্রসঙ্গত উমা দাশগুপ্ত ছোট থেকেই থিয়েটার করতেন। জানা যায়, তিনি যে স্কুলে পড়তেন, সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কিংবদন্তি পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের পরিচয় ছিল। সেই সূত্রেই ‘পথের পাঁচালী’ ছবির জন্য উমা দাশগুপ্তকে আবিষ্কার করেছিলেন মানিকবাবু। তবে উমার বাবা কোনওভাবেই চাননি যে তাঁর মেয়ে অভিনয় দুনিয়ায় আসুক। তবে পরিচালকই তাঁর বাড়ির লোকজনকে রাজি করান।