প্রীতি পোদ্দার, বেলডাঙা: কিছুদিন আগে জগদ্ধাত্রী পুজোকে কেন্দ্র করে তুমুল সংঘর্ষ বেঁধেছিল দুই গোষ্ঠীর মধ্যে। এরপর গোটা পরিস্থিতি পুলিশ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছে। এদিকে গত শনিবার ছিল কার্তিক পুজো। আর এই পুজোকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে রাতভর উত্তপ্ত ছিল মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা। বন্ধ করা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা।
ঘটনাটি কী?
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শনিবার রাত ৮ টা ৩০ মিনিট নাগাদ দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। বিক্ষোভের জেরে ট্রেনও আটকে যায় বলে দাবি করা হয়েছে। শিয়ালদা-লালগোলা শাখায় ট্রেন চলাচলও ব্যাহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়। একাধিক জায়গায় রাস্তা, রেল লাইন অবরোধ হয়েছে। তাই গোলমাল থামাতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। গোলমালে জড়িত থাকার অভিযোগে মোট আট জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে রবিবার সকাল থেকে পরিস্থিতির উন্নতি হলেও শনিবার রাত থেকে গোটা মুর্শিদাবাদ জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ। জানা গিয়েছে আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত তা বন্ধ থাকবে।
১৬৩ ধারা জারি করেছে জেলা প্রশাসন
এদিন ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে দীর্ঘক্ষণ যান চলাচল বন্ধ থাকার পাশাপাশি লালগোলাগামী ভাগীরথী এক্সপ্রেস দীর্ঘ ক্ষণ বেলডাঙা স্টেশনে দাঁড়িয়ে ছিল। শনিবার রাত ১টা ১৫ মিনিট নাগাদ সেটি লালগোলার উদ্দেশে রওনা দেয়। লালগোলা এবং শিয়ালদহমুখী একাধিক ট্রেন বিভিন্ন স্টেশনে দীর্ঘক্ষণ আটকে পড়ে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে ওইদিন রাতে বেলডাঙায় যান মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র, মুর্শিদাবাদ ও জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার সূর্যপ্রতাপ যাদব, আনন্দ রায়। ওই এলাকায় ২৪ ঘণ্টার জন্য ১৬৩ ধারা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। এবং সংঘর্ষের সঙ্গে জড়িত ধৃতদের আগামী ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হবে।
এদিকে গোটা ঘটনায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর তোষণের রাজনীতির ফলে পশ্চিমবঙ্গের দিকে দিকে অশান্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে। রাজ্যের ব্যর্থ, নির্লজ্জ পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি এ সব শুনে শান্তিতে ঘুমোচ্ছেন? না কি পশ্চিমবঙ্গকে বাংলাদেশ বানানোর গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে? পাশাপাশি তিনি এও আবেদন করেন যে কেউ যেন প্ররোচনায় পা না দেন।”
সাম্প্রদায়িক মুখ্যমন্ত্রীর নির্লজ্জ তোষণের রাজত্বে গভীর রাতেও জ্বলছে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা। বাংলাদেশের কায়দায় চলছে হিন্দুনিধন যজ্ঞ! দিকে দিকে নিরীহ হিন্দুদের বেছে বেছে মারধর, বাড়িতে বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, বোমাবাজি চলছে। এমনকি বাড়িতে বলপূর্বক ঢুকে নিরীহ মহিলাদেরও দেওয়া হচ্ছে… pic.twitter.com/T3ikjhnHc2
— Dr. Sukanta Majumdar (@DrSukantaBJP) November 16, 2024