শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ মাত্র ৪ দিনে কয়েক হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়ে গেল ভারতের সবথেকে বড় ব্যাঙ্কের। কেউ হয়তো স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি এমনটা হতে পারে বলে। এমনিতে বিগত বেশ কিছু সময় ধরে শেয়ার মার্কেটে উঠানামা অব্যাহত রয়েছে। কখনো কোন কোম্পানির শেয়ার বাড়ছে তো কখনো কোনো কোম্পানি শেয়ার একদম ধুলোর সঙ্গে মিশিয়ে যাচ্ছে। কেউ মুহূর্তের মধ্যে একেবারে ফকির হয়ে যাচ্ছে এখানে অবস্থায় এবার রীতিমত কপাল পুড়ল দেশের সবথেকে বড় ব্যাংক স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (State Bank of India)। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। মাত্র ৪ দিনে কিনা এও ব্যাঙ্কের ক্ষতি হয়ে গেল ৩৪৯৮৪ কোটি টাকা মতো।
বিরাট ক্ষতি হয়ে গেল SBI -এর
শীর্ষ দশটি মূল্যবান সংস্থার মধ্যে আটটি সংস্থা গত সপ্তাহে বাজার মূল্য থেকে ১,৬৫,১৮০.০৪ কোটি টাকা খুইয়েছে। এমনকি ভারতের বৃহত্তম সরকারি ব্যাঙ্ক SBI-এরও চার দিনে (সোম থেকে বৃহস্পতিবার) ৩৪ হাজার ৯৮৪ কোটি টাকা লোকসানের মুখ দেখেছে বলে খবর। ইক্যুইটির দুর্বল প্রবণতার সাথে সামঞ্জস্য রেখে এটি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ সংস্থাগুলির মধ্যে ছিল।
এসবিআই-এর বাজার মূল্য ৩৪,৯৮৪.৫১ কোটি টাকা কমে দাঁড়িয়েছে ৭,১৭,৫৮৪.০৭ কোটি টাকায়। গত সপ্তাহে বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ বেঞ্চমার্ক সেনসেক্স ১৯০৭. ০১ বা ২. ৩৯ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। গুরু নানক জয়ন্তী উপলক্ষে শুক্রবার ইক্যুইটি মার্কেটগুলি বন্ধ ছিল। যাইহোক, মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের বাজার মূলধন ২২,০৫৭.৭৭ কোটি টাকা কমে ১৭,১৫,৪৯৮.৯১ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।
ক্ষতি হয়েছে মুকেশ আম্বানিরও
বিগত মাত্র কয়েক দিনে বিরাট অঙ্কের টাকার ক্ষতি হয়ে গিয়েছে আম্বানিরও। তার পরেই রয়েছে টিসিএস, এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক, ভারতী এয়ারটেল, ইনফোসিস, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, আইটিসি, এলআইসি এবং হিন্দুস্তান ইউনিলিভার। সম্প্রতি, এসবিআই ১৫ নভেম্বর থেকে তিন মেয়াদের জন্য তহবিল-ভিত্তিক ঋণের হার (এমসিএলআর) এর প্রান্তিক ব্যয় ৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়েছে।
সংশোধিত হার অনুসারে, ব্যাঙ্কের তিন মাসের এমসিএলআর ৮.৫০% থেকে বেড়ে ৮.৫৫%, ছয় মাসের এমসিএলআর ৮.৮৫% থেকে বেড়ে ৮.৯০% হয়েছে, এবং এক বছরের এমসিএলআর ৮.৯৫% থেকে বেড়ে ৯.৯৫% হয়েছে। গত তিন মাসে এটি এমসিএলআর-এ তৃতীয় বৃদ্ধি। এটি তার গ্রাহকদের জন্য ঋণ এবং সমান মাসিক কিস্তি (ইএমআই) ব্যয়বহুল করে তুলবে।