শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ সময়ের সঙ্গে দেশের রেল ব্যবস্থায় প্রভুত উন্নতি হয়েছে। বলা হয়, ভারতবাসীর লাইফ লাইন হল ভারতীয় রেল। সেই রেল এখন আগের থেকে অনেক বেশি আধুনিকের ছোঁয়া পেয়েছে। এক সময় প্রিমিয়াম ট্রেন মানেই ছিল রাজধানী এক্সপ্রেস, শতাব্দী এক্সপ্রেস। এখন প্রিমিয়াম ট্রেনের সংখ্যা বেড়েছে অনেকটাই। বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ভারতীয় রেল ব্যবস্থার এক মাইল ফলক। বন্দে ভারত সাধারণ মানুষকে দিয়েছে আরামদায়ক, অত্যাধুনিক সফর করার অনুভূতি। তবুও রাজধানী এক্সপ্রেসের জন্য মানুষের মনে রয়েছে বিশেষ জায়গা।
রাজধানী এক্সপ্রেস না বন্দে ভারত কোনটা ভালো?
রাজধানী এক্সপ্রেসও আগের থেকে বদলেছে। কিন্তু রাজধানী এক্সপ্রেস কি বন্দে ভারতকে টক্কর দিতে পারছে? বন্দে ভারত এক্সপ্রেস তৈরি হয়েছে চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরিতে। ট্রেনের ডিজাইন থেকে শুরু করে গতি, এসব খুব সহজেই চোখে পড়ে। যেটা খালি চোখে দেখা যায় না সেটা হল নিরাপত্তা ব্যবস্থা। গতির সঙ্গে সঙ্গে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বেশ জোরাল। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে কামরার গঠন ও অন্যান্য বিষয়ে নজর দিয়েছে রেল। এছাড়াও বন্দে ভারত স্লিপারের টয়লেট এবং অন্দরসজ্জা সকলের নজর কাড়ছে।
সময়ের সঙ্গে রাজধানী এক্সপ্রেসের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও আগের থেকে উন্নতি লাভ করেছে। তবে গতির ব্যাপারে ভারতের প্রায় সব ট্রেনকেই এখন হয়তো মাত দেবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসের হিসেবে শতাধিক বন্দে ভারত চালানো হয়েছে, যার মধ্যে সর্বোচ্চ গতি ছুঁয়েছে ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার। বন্দে ভারত আগে শুধু সিটার অপশনে চালানো হতো।
কোনটা বেশি আরামদায়ক?
এখন দীর্ঘ যাত্রার জন্য নিয়ে আসা হয়েছে স্লিপার বন্দে ভারত, যার কামরা অনেক বেশি আধুনিক। যাত্রীদের আরামের জন্য দেওয়া হয়েছে নরম গদি, ঝাঁকুনিও কম অনুভূত হয়। রাজধানী এক্সপ্রেসে অতিরিক্ত গদি যুক্ত স্লিপার ক্লাস কিন্তু দেওয়া নেই। বন্দে ভারতের টয়লেট একেবারে ঝাঁ চকচকে। বায়ো টয়লেট, ভ্যাকুয়েমের ব্যবস্থা, দুর্গন্ধ নাশক প্রযুক্তি রয়েছে। রাজধানী এক্সপ্রেসেও টয়লেট বেশ পরিস্কার ও উন্নত। তবে সব দিক বিচার করলে বন্দে ভারত রাজধানী এক্সপ্রেসের থেকে কিছুটা হলেও এগিয়েই থাকবে।