বিপ্লবীদের আস্তানা, নাকি গুপ্তধন! মেদিনীপুরে খোঁজ মিলল প্রাচীন সুড়ঙ্গের, হইচই এলাকায়

Published on:

ancient tunnel

প্রীতি পোদ্দার, পশ্চিম মেদিনীপুর: ভারতের মত এক ঐতিহ্যপূর্ণ দেশে এখনও বিভিন্ন জায়গায় কোণায় কোণায় ছড়িয়ে রয়েছে নানা ইতিহাস। বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিকরা এই সকল আশ্চর্য ইতিহাস আবিষ্কার করে নানা প্রাচীন তথ্য উদঘাটিত করেই চলেছে। এদিক থেকে আমাদের বাংলাও কোনো অংশে কম যায় না। চারিদিকে ছড়িয়ে রয়েছে সম্রাট রাজাদের নানা সৃষ্টির কীর্তি। আর এই আবহেই এবার পশ্চিম মেদিনীপুরে এক জমি খনন করতেই উঠে এল লম্বা সুড়ঙ্গ।

ঘটনাটি কী?

WhatsApp Community Join Now

জানা গিয়েছে গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার দুপুরে পিংলা ব্লকের রাজবল্লভ এলাকার বাসিন্দা অনিমা ঘোষের জমিতে ভিত গড়ার জন্য মাটি খোঁড়ার কাজ চলছিল। কিন্তু কিছুটা গর্ত খুঁড়তে গিয়েই সকলের চোখে ধরা পড়ে এক অবাক করা দৃশ্য। একটি সুড়ঙ্গ নজরে আসে কর্মীদেরই। প্রায় ১৫ ফুট দীর্ঘ এবং ৪-৫ ফুট চওড়া একটি সুড়ঙ্গ! যা দেখে রীতিমত চক্ষু চড়কগাছ সকলের। এমনকি বাড়ির মালিক অনিমাদেবীও বেশ হতবাক। বিষয়টি জানাজানি হতেই সেই দৃশ্য দেখার জন্য রীতিমত ভিড় বেড়েছে গ্রামবাসীদের।

এদিকে গ্রামবাসীদের দাবি, এই ধরনের কোনও সুড়ঙ্গের কথা তাঁরা কোনওদিন শোনেননি। যদি এই জায়গায় ভিত গড়ার কাজ শুরু না হত তাহলে কোনওদিনও তা নজরে আসত না। অনিমাদেবী জানান, পরিবারের কেউ এই ধরনের সুড়ঙ্গের কথা অতীতে তাঁকে জানাননি। এই সুড়ঙ্গের খবর পিংলা ব্লক প্রশাসন এর কাছে চলে যাওয়ায় তাঁরাও তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে আসেন। এবং ওই সুড়ঙ্গ কোনও ঐতিহাসিক স্থাপত্যের অংশ কি না তা খতিয়ে দেখার জন্য বিভিন্ন তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই সুড়ঙ্গটির বয়স কত, তার কোনও ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে প্রশাসন। আপাতত সেখানে নির্মাণকাজ বন্ধ রাখা হয়েছে।

কী বলছেন সেখানকার বিডিও?

সেখানকার বিডিও লাকপা ওয়াংচু শেরপা এই সুড়ঙ্গ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন যে, “এই বিষয়ে অভিজ্ঞদের কাছে আমরা ছবি ও ভিডিও পাঠাচ্ছি। তাঁরাই বিস্তারিত বলতে পারবেন। তবে, এখনও পর্যন্ত এর মধ্যে আমি কোনো ঐতিহাসিক বা প্রত্নতাত্ত্বিক কিছু বিষয় খুঁজে পাইনি! তা সত্ত্বেও আমার মন্তব্য করা ঠিক হবে না। কারণ, এই বিষয়ে আমি বিশেষজ্ঞ নই।” তবে সেখানকার স্থানীয়দের দাবি, বহু বছর আগে ওখানে লক্ষ্মী-জনার্দনের মন্দির ছিল। সুড়ঙ্গ এবং সিঁড়ি ওই মন্দিরেরই অংশ হতে পারে।

সঙ্গে থাকুন ➥
X