বৈশাখী মণ্ডল, কলকাতাঃ কালী পুজোর পরে পরেই শীতের আগমন শুরু হয়ে যায়। আর এই শীতে সকালে যারা স্নান করেন অথবা যারা একাধিকবার স্নান করেন তাদের কথা চিন্তা আগে করা উচিত। কারণ শীতে কনকনে ঠান্ডা জলে রোজ স্নান করলে শরীর খারাপ হতে পারে। আবার সবার ঘরে গিজার ও নেই যে চটজলদি জল গরম করে স্নান করবে। তাই কিছু যদি উপায় বের করে এই শীতে জল গরম রাখা সম্ভব হয় তবে মন্দ কি!
গিজার ছাড়াই শীতকালে জল রাখুন গরম
গরমকালে যেমন জল গরম হওয়া থেকে রক্ষা করা হয় ঠিক তেমনি শীতকালেও জল ঠান্ডা হওয়া থেকে রক্ষা করা সম্ভব। আসুন জেনে নি কি পদ্ধতি ব্যবহার করলে জল আমরা গরম রাখতে পারবো। তাপমাত্রা কমার সাথে সাথে ঠান্ডা জলের ব্যবহার কমে আসে। কিন্তু আমাদের ট্যাঙ্কের জল ঠান্ডা হবার হাত থেকে রক্ষা করতে আমরা কিছু পদ্ধতি ব্যবহার করতেই পারি।
থার্মোকলকে খুব ভালো ইনসুলেটর হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি সাধারণত বাইরের তাপমাত্রাকে ভিতরে প্রবেশ করতে বাধা দেয়। এখন আপনি যদি আপনার ট্যাঙ্কের চারপাশে থার্মোকল রাখেন তবে বাইরের ঠান্ডা বাতাস আপনার ট্যাঙ্কের ভিতর প্রবেশে বাধা পাবে। ফলে ট্যাঙ্কের জল ঠান্ডা হবেনা। এর পদ্ধতি ব্যবহার করার জন্য আপনাকে প্রসাধনীর দোকান থেকে ৫ মিমির কম পাতলা থার্মোকল কিনে এনে সেটাকে ট্যাঙ্কের কাছে সেট করে দিন। দরকার হলে ট্যাঙ্কের ঢাকনাও থার্মোকল দিয়ে ঢেকে দিন।
ট্যাঙ্কের জল গরম রাখতে করুন এই কাজ
ট্যাঙ্কের জল গরম রাখতে ট্যাঙ্কটিকে গাঢ় রঙের করে দিন। সাধারণত গাঢ় রঙ খুব ভালো করে এবং তাড়াতাড়ি সূর্যের আলো শোষণ করে। তাই যখন সূর্যের আলো ট্যাঙ্কে পরবে তখন ট্যাঙ্কের জল দ্রুত গরম হবে। অতএব আপনার ট্যাঙ্কের রঙ হালকা হলে শীত কালে অবশ্যই তা গাঢ় রঙের করে নিন।
গরমকালে মানুষেরা নিজেদের গরমের হাত থেকে রক্ষা পেতে যেমন ছায়াযুক্ত জায়গায় রাখে ঠিক তেমনিই জলের ট্যাঙ্কগুলোকে ছায়াযুক্ত জায়গায় রাখে ঠান্ডা জলের জন্য। তারপর আবার শীতকাল এলে তারা তাদের জলের ট্যাঙ্ক রোদে রাখা শুরু করে। এইভাবেই তারা শীতকালে গরম জল উপোভোগ করে। আবহাওয়ার সাথে সাথে ট্যাঙ্কের অবস্থান পরিবর্তন করে চলে কিছু মানুষ।