শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ উৎসবের মরসুম শেষ হতে না হতে কার্যত মাথায় চিন্তার বাজ ভেঙে পড়ল এলআইসির (Life Insurance Corporation)। কেউ হয়তো ভাবতেও পারেননি। কোম্পানির পাশাপাশি চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন কোটি কোটি গ্রাহকও। জানলে আকাশ থেকে পড়বেন, মাত্র ১ দিনে কমপক্ষে ৮৭০০ কোটি টাকা খোয়ালো দেশের সবথেকে বড় এই বীমা কোম্পানি। এদিকে ভারতের অন্যতম বড় ও ধনকুবের ব্যবসায়ী গৌতম আদানির বিরুদ্ধেও গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। যারপরে আদানি গ্ৰুপেরও কয়েক হাজার কোটি টাকা লস হয়েছে বলে খবর।
আদানির বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ
আসলে মার্কিন বিচার বিভাগ এবং মার্কিন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে ঘুষ, জালিয়াতি এবং জালিয়াতির মতো গুরুতর অভিযোগ এনেছে। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পর ২১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার আদানির শেয়ারে ব্যাপক ধস নাম। আদানি গ্রুপের শেয়ারের দাম কমেছে ২৩ শতাংশ। এদিকে আদানির শেয়ারের দরপতনে বড় ধাক্কা খায় দেশের বৃহত্তম বিমা সংস্থা LIC-ও। মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে এলআইসির ১২,০০০ হাজার কোটি টাকার বিশাল ক্ষতি হয়েছে।
বিরাট ক্ষতির মুখে LIC
প্রসঙ্গত, আদানির ৭টি সংস্থায় প্রচুর বিনিয়োগ করেছে এলআইসি। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের শেয়ারহোল্ডিং অনুসারে, এলআইসি আদানি এন্টারপ্রাইজ, আদানি পোর্টস, আদানি গ্রিন এনার্জি, আদানি এনার্জি সলিউশন, আদানি টোটাল গ্যাস, অম্বুজা সিমেন্ট এবং এসিসি সিমেন্টে ১১,৭২৮ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। আর এই বিনিয়োগই যে বীমা কোম্পানির পক্ষে বিপর্যয় আনবে কেই ভাবতে পারেনি।
আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি-সহ ছ’জনের বিরুদ্ধে সরকারি আধিকারিকদের ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পর আদানি গ্রুপের শেয়ারে ২০ শতাংশ পর্যন্ত পতন হয়েছে। আদানির শেয়ারের পতন এলআইসি সহ তার বিনিয়োগকারীদের উপর প্রভাব ফেলেছিল।
আদানির কারণে বিশাল ক্ষতির মুখে এলআইসি
আদানির সংস্থায় বিনিয়োগ করা এলআইসি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আদানি পোর্টসের কাছ থেকে। শেয়ারের দরপতনের জেরে আদানি পোর্টসের ক্ষতি হয়েছে ৫,০০৯ কোটি টাকারও বেশি। একই সময়ে, আদানির ফ্ল্যাগশিপ সংস্থা আদানি এন্টারপ্রাইজের শেয়ারের পতনের কারণে এলআইসি ৩০১২ কোটি টাকা হারিয়েছে। একইভাবে অম্বুজা সিমেন্টের ১,২০৭ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া আদানি টোটাল গ্যাস, এনার্জি সলিউশন, এসিসি এবং আদানি গ্রিন এনার্জি মিলে ১২ হাজার কোটি টাকার গণ্ডি পেরিয়েছে।