প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: রাজ্য এবং সরকারী কর্মীদের মধ্যে DA বৃদ্ধি সংক্রান্ত মামলা এখনও আদালতে বিচারাধীন। এদিকে কেন্দ্রীয় সরকার, কেন্দ্রীয় কর্মীদের DA বৃদ্ধি করেই চলেছে। এইমুহুর্তে DA এর পরিমাণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ৫৩ শতাংশে। আর এই আবহে রাজ্য সরকার DA বাড়ানো তো দূর উল্টে চাকরির কাঠামোতে নানা পরিবর্তন এনেছে। কিছুদিন আগেই হাজিরায় কড়াকড়ি করতে সরকারি দফতরে চালু করেছে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি। আর এবার জমা দিতে হবে সততার শংসাপত্র।
সততার শংসাপত্র নিয়ে বড় পদক্ষেপ
নির্দেশিকা এসেছিল ২০০০-এ। বলা হয়েছিল সরকারি চাকরিতে পদোন্নতির ক্ষেত্রে সততার সার্টিফিকেট লাগবে। ‘IAS এবং WBCS অফিসারদের ক্ষেত্রে সে নিয়ম মানা হলেও পরের অন্য স্তরের অফিসারদের ক্ষেত্রে এতদিন তা মানার ক্ষেত্রে ঢিলেমির অভিযোগ ছিল। এ বার কড়া ভাষায় নবান্ন জানিয়ে দিয়েছে, রাজ্যের সব স্তরের সরকারি আধিকারিকদের পদোন্নতির জন্যই লাগবে সততার ওই সার্টিফিকেট। পাশাপাশি এই সততার শংসাপত্রের মধ্যেই থাকবে সংশ্লিষ্ট কর্মীর শৃঙ্খলা পরায়ণের বিষয়টিও।
কী নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন?
আর এই প্রসঙ্গেই স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠছে কীভাবে সরকারী কর্মীদের সততার বিচার করা হবে। এই বিষয়েও এবার স্পষ্ট জানিয়ে দিল নবান্ন। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্দিষ্ট সময়ে অফিসে আসা, দায়িত্বের সঙ্গে নিজের ডিউটি পালন করা, সরকারি কাজের বিনিময়ে কোনও ধরনের সুবিধা ভোগ না করা ইত্যাদি। এ বিষয়গুলির নিরিখেই সংশ্লিষ্ট কর্মীকে Integrity Clearance Certificate/ Vigilance Clearance দিয়ে থাকেন ঊর্ধ্বতন কর্তারা। এখন থেকে তা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। আর এই সমস্ত ধাপে সফল হলেও পাওয়া যাবে সততার শংসাপত্র। সেই শংসাপত্র জমা দিলেই হবে পদোন্নতি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নবান্নের এক শীর্ষ কর্তা এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, “ বিভিন্ন সময় দেখা যায় অনেক আধিকারিক দুর্নীতি করেও পার পেয়ে যাচ্ছেন। এমনকি তাঁদের প্রোমোশনও হয়ে যাচ্ছে। তাই প্রোমোশনের ক্ষেত্রে পুরোনো নিয়ম কঠোর ভাবে কার্যকর করতে বলা হয়েছে। অফিসারদের পদোন্নতির জন্য সততার সার্টিফিকেট নেওয়ার বিষয়টি ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্ভিস রুলসে উল্লেখ থাকলেও সেটা এতদিন বাধ্যতামূলক ছিল না। তবে এখন সেটি স্বীকৃতি পাওয়ায় অনেকটাই উপকৃত হতে চলেছে।”