শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ নতুন বছর শুরু হওয়ার আগে জোরদার ধাক্কা খেল রিলায়েন্স Jio। এক ধাক্কায় প্রায় ৮০০০০০০০ গ্রাহক হারাল সংস্থা। শুনে চমকে গেলেন তো? কিন্তু এটাই দিনের আলোর মতো। স্বাভাবিকভাবে এহেন ঘটনাকে কেন্দ্র করে টেলিকম সেক্টরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। সম্প্রতি টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (Telecom Regulatory Authority of India) এর সর্বশেষ রিপোর্ট দেখে সকলের চোখ কপালে উঠেছে। আপনিও কি জানতে ইচ্ছুক যে ট্রাই কী এমন জানিয়েছে? তাহলে চোখ রাখুন আজকের এই প্রতিবেদনটির ওপর।
চাঞ্চল্যকর তথ্য দিল TRAI
ট্রাই জানিয়েছে, বৃহত্তম টেলিকম অপারেটর Jio এই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ৭৯.৭ লক্ষ গ্রাহক হারিয়েছে। এই ক্ষতির পিছনে বড় কারণ হ’ল জিও, অন্যান্য বেসরকারী টেলিকম সংস্থাগুলি সাম্প্রতিক মাসগুলিতে তার ট্যারিফ প্ল্যান বাড়িয়েছে। কিন্তু সেই যে কথায় আছে না, কারোর পৌষ মাস তো কারোর সর্বনাশ। এক্ষেত্রে সুবিধা হয়েছে বিএসএনএল-এর, অন্যদিকে সর্বনাশ হয়েছে জিওর। জানানো হয়েছে, জিও-র গ্রাহক সংখ্যা কমলেও ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড (বিএসএনএল) ৮.৫ লক্ষ নতুন ব্যবহারকারী পেয়েছে। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন।
ব্যবহারকারী কমে যাচ্ছে বেসরকারি টেলিকম সংস্থাগুলির
শুধুমাত্র জিও-ই নয়, এক ধাক্কায় বহু গ্রাহককে হাড়িয়েছে দেশের অন্যতম বড় টেলিকম সংস্থা ভোডাফোন-আইডিয়া। সম্প্রতি, ভোডাফোন আইডিয়া লিমিটেড ১.৫৫ মিলিয়ন গ্রাহক হারিয়েছে চলতি বছরে। এটা যে কোম্পানির পক্ষে খুবই ক্ষতির ব্যাপার সেটা বলাই বাহুল্য। একইভাবে জিওর সঙ্গে সমসময় টক্কর নেওয়া ভারতী এয়ারটেল লিমিটেড শহর এবং অভিজাত বাজারে তাদের দখল থাকা সত্ত্বেও সেই মাসে ১.৪৩ মিলিয়ন গ্রাহক হারিয়েছে।
জিও-র কাছে বড় ক্ষতি
টেলিকমিউনিকেশন জায়ান্ট জিও, লঞ্চের পর থেকে ধারাবাহিকভাবে নতুন গ্রাহকের মন জয়ের জন্য বিখ্যাত হওয়া সত্ত্বেও সেপ্টেম্বর মাসে বহু গ্রাহককে হারিয়ে মাথায় হাত পড়েছে। এদিকে মাত্র কয়েক মাসে BSNL সংস্থাটি কেবল সেপ্টেম্বরেই ৮.৫ লক্ষ গ্রাহক যুক্ত করেছে। সংস্থাটি তার সাশ্রয়ী মূল্যের পরিকল্পনা এবং উন্নত গ্রামীণ সংযোগের কারণে এটি করেছে।
TRAI-এর একটি রিপোর্টের ভিত্তিতে সংগৃহীত সর্বশেষ তথ্য ইঙ্গিত দেয় যে অনিবন্ধিত টেলিমার্কেটার এবং স্প্যাম কল সম্পর্কিত অভিযোগের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে ২০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। ২০২৪ সালের অক্টোবরে অভিযোগের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৮৯ হাজার, যা ২০২৪ সালের অক্টোবরে কমে ১ লাখ ৫১ হাজারে দাঁড়িয়েছে। শুধু তাই নয়, যারা এই নিয়ম মানবেন না, তাঁদের জন্য দু’বছরের কালো তালিকাভুক্ত করার কড়া নিয়মও চালু করেছে ট্রাই।