বর্তমানে ডিজিটাল যুগ চলছে। এদিকে যারা ডিজিটাল যুগের সঙ্গে তালে তাল মিলিয়ে চলতে পারছেন তাঁদের অসুবিধা নেই। কিন্তু যারা টেক স্যাভি নন তাঁদের সমস্যার শেষ নেই। এই যেমন কলকাতা মেট্রো (Kolkata Metro)। আগে যেমন নগদ টাকা দিয়ে লেনদেন হত। কিন্তু বর্তমান সময়ে এই মেট্রো পরিষেবাও ডিজিটালি হয়ে যাচ্ছে। এহেন অবস্থায় এবার কলকাতা মেট্রোর তরফে এমন এক ব্যবস্থা করা হয়েছে যার দরুন সমস্যায় পড়েছেন সকলেই। আর নিয়ম আনা হয়েছে টিকিট কাটার বিষয়ে। আপনিও যদি নিত্য মেট্রো যাত্রী হয়ে থাকেন তাহলে আজকের এই প্রতিবেদনটি রইল শুধুমাত্র আপনার জন্য।
টিকিট কাটার নিয়মে নয়া নিয়ম
এখন আপনিও কি জানতে ইচ্ছুক যে টিকিট কাটার নিয়মে মেট্রো কর্তৃপক্ষ কী নতুন নিয়ম এনেছে? তাহলে জানিয়ে রাখি, কলকাতা মেট্রো সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিনের কিছুটা সময়ে মেট্রো স্টেশনগুলিতে নগদের মাধ্যমে টিকিট কাটা বন্ধ রাখা হবে। নগদের বদলে কিউআর কোড কিংবা স্টেশনগুলিতে থাকা ভেন্ডিং মেশিন থেকে টিকিট কাটতে হবে। গত ১৯ নভেম্বর নাকি এই বিষয়ে একটি নির্দেশিকা জারি করেছে কলকাতা মেট্রো। তবে মেট্রোর এহেন সিদ্ধান্তে ব্যাপক সমস্যায় পড়েছেন নিত্য যাত্রীরা বলে অভিযোগ। এমনকি নতুন নিয়ম মানতে গিয়ে ট্রেনও অবধি ছেড়ে দিতে হচ্ছে অনেককে। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন।
সমস্যায় যাত্রীরা
এখন জায়গায় জায়গায় কিউ আর কোড, নয়তো ভেন্ডিং মেশিন রয়েছে টিকিট কাটার জন্য। যারা এই অনলাইন ব্যবস্থায় স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন তাঁদের সমস্যা নেই, কিন্তু ধরুন কোনও বয়স্ক ব্যক্তি মেট্রো ধরবেন অথচ তিনি এই অনলাইন ব্যাপার স্যাপার জানেন না তাঁদের খুব সমস্যা হয়। এক কথায় পরনির্ভর হয়ে থাকতে হয়। এদিকে মেট্রোর তরফে চালু হওয়া নয়া নিয়মের ঠ্যালায় জেরবার হয়ে গিয়েছে সকলের জীবন বলে অভিযোগ।
রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৯ নভেম্বর একটি নির্দেশিকা জারি করেছিল কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষ। তাতে নাকি বলা হয়েছে, মেট্রোর নর্থ-সাউথ লাইনের ১৫টি স্টেশনের সবকটি টিকিট কাউন্টারেই যেন দিনের বেশ কিছুটা সময় নগদ লেনদেন পুরোপুরি বন্ধ রাখা হয়। মেট্রোর তরফে জারি করা নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী, আপাতত ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত পাইলট প্রোজেক্ট হিসেবে এই নিয়ম কার্যকর থাকবে। গত ২০ নভেম্বর থেকে চালু হয়েছে এই প্রকল্পটি। এই আবহে বহু যাত্রীদেরই সেই সময় টিকিট কাটতে খুবই সমস্যা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
একদিকে যেখানে মেট্রোতে যাতায়ত করা সব যাত্রী ‘টেক-স্যাভি’ নন। আবার যারা ডিজিটাল লেনদেনে অভ্যস্ত, তারাও বিরক্ত হচ্ছেন। কারণ, একাধিক টিকিট কাটতে গিয়ে বার বার কিউআর কোড স্ক্যান করতে হচ্ছে। এদিকে স্বয়ংক্রিয় ভেন্ডিং মেশিনে টিকিটের নির্দিষ্ট দাম দিতে হয়। কারণ এই মেশিনে টাকা ফেরত দেওয়ার কোনও উপায় নেই। এই আবহে সমস্যায় পড়ছেন যাত্রীরা।