প্রীতি পোদ্দার, নয়া দিল্লি: ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে পেনশন (Pension) সংক্রান্ত একটি রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। যেখানে বলা হয়েছিল প্রত্যেক গ্রাহক যেন নির্দিষ্ট অঙ্কের পেনশন পায়। কিন্তু সেই রায় পালন এবার রীতিমত হিমশিম খেল EPFO বা এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন। সংস্থা সূত্রে গ্রাহকদের জানানো হয়েছে যে, বর্ধিত হারে পেনশন দেওয়ার মত পরিস্থিতি এখন আর নেই। কারণ এই মুহূর্তে নির্দিষ্ট ‘ফর্মুলা’ মেনে পেনশন দিতে হলে তহবিলে বড়সড় ফাঁক তৈরি হবে। তাই কেন্দ্রের গাফিলতির ফল ভোগ করতে হচ্ছে পেনশনের আওতায় থাকা সাধারণ মানুষকে।
বর্ধিত হারে পেনশন দিতে অপারগ EPFO!
রিপোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই পিএফের আওতায় থাকা লক্ষ লক্ষ পেনশনভোগী আবেদন জানিয়েছেন। এমনকি সঠিক সময়ে বর্ধিত হারে পেনশন পেতে জমা করেছেন টাকাও। কিন্তু তাতে কোনো কাজই হচ্ছে না। কারণ জানা গিয়েছে আচমকাই নাকি পেনশন সম্পর্কিত সকল প্রশাসনিক প্রক্রিয়া বন্ধ করেছে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন বা EPFO। এদিকে যাঁরা দেরিতে পেনশন পাবেন, তাঁদের কোনো বাড়তি সুদ দেওয়া হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়েছে কেন্দ্র। পেনশন নিয়ে কেন্দ্রের এই গা ছাড়া মনোভাব নিয়ে রীতিমত ক্ষুব্ধ সকলে।
এখনও ১০ হাজার জনকেও পেনশন দেয়নি কেন্দ্র
সম্প্রতি এক ব্যক্তি আসল তথ্য জানার জন্য RTI করেছিল। তার ভিত্তিতেই একথা স্পষ্ট করে দিয়েছে EPFO। অর্থাৎ গ্রাহকরা যে বাড়তি লাভের কথা ভেবে বর্ধিত হারে পেনশনের দিকে ঝুঁকেছিলেন, তার কোনও ভূমিকাই আর রইল না। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে উঠে আসছে আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগ। ইতিমধ্যেই বর্ধিত হারে পেনশনের জন্য সাড়ে ১৭ লক্ষ আবেদন জমা পড়েছে কেন্দ্রের কাছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এখনও ১০ হাজার জনকেও সেই পেনশন দেয়নি কেন্দ্র। যার ফলে কেন্দ্রের প্রতি সাধারণ মানুষের আশা ও ভরসার জায়গাটা নড়ে গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে পেনশন দেওয়া হলে তার অঙ্ক যে বাড়বে সেই সংক্রান্ত কোনও নির্দিষ্ট তথ্য প্রকাশ করা হয়নি কেন্দ্রের তরফ থেকে। এদিকে কেন্দ্রীয় সরকারেরই চাহিদা অনুযায়ী লক্ষ লক্ষ টাকা তাঁদের কাছে জমা করতে হচ্ছে। যার ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে বর্ষিত হারে টাকা জমা দিলেও কেন সেখানে সুদ পাবেন না প্রবীণরা? কিন্তু কোনো উত্তর মেলেনি কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে।