প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: বিভিন্ন প্রকল্প বা স্কিম নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের সংঘাত লেগেই রয়েছে। কখনও রেশন নিয়ে তো আবার কখনও আবাস যোজনা নিয়ে। আর এই সংঘাতের তালিকা থেকে বাদ যাচ্ছে না ছাত্র ছাত্রীদের মিড ডে মিল (Midday Meal Scheme)। বরাদ্দ অর্থ নিয়ে বারংবার শিক্ষামহলের হাজার প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে কেন্দ্রকে। অবশেষে সেই অভিযোগের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় সরকার বরাদ্দ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল।
মিড ডে মিল নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের
সূত্রের খবর প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিক দুই খাতে মাথাপিছু ৭০-৭৫ পয়সা করে বরাদ্দ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার। শেষ বার ২০২২ সালে মিড-ডে মিলে বরাদ্দ বাড়িয়েছিল কেন্দ্র। সে বার প্রাথমিকে মাথাপিছু বরাদ্দ বাড়িয়ে করা হয়েছিল ৫.৪৫ টাকা। আর মাথাপিছু বরাদ্দ বেড়ে ৮.১৭ টাকা হয়েছিল উচ্চ প্রাথমিকে। কিন্তু তারপর টানা দু’বছর ধরে বরাদ্দ না বাড়ায় ক্ষোভ বাড়ছিল শিক্ষামহলে। সেই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে অবশেষে বরাদ্দ বাড়ল মিড-ডে মিলে। প্রাথমিকে মাথাপিছু বরাদ্দ বেড়ে হল ৬.১৯ টাকা। এবং উচ্চ প্রাথমিকে বরাদ্দ বেড়ে হল ৯.২৯ টাকা। তবে এই বরাদ্দ নিয়েও ক্ষোভ কাটেনি শিক্ষমহলে।
শিক্ষামহলে উঠছে প্রশ্ন
অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেস (এএসএফএইচএম)-এর রাজ্য সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতি বলেন, গত কয়েক বছর ধরে মিড ডে মিলের বরাদ্দ বাড়েনি। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি আকাশ ছোঁয়া হয়েছে। সে তুলনায় এই বরাদ্দ বৃদ্ধি অতি নগণ্য। এই টাকা দিয়ে কীভাবে পুষ্টিকর খাদ্য যোগান দেওয়া যায়, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। এছাড়াও তিনি আরও দাবি করেন যে AIPI অনুযায়ী প্রতিবছর মিড ডে মিলের বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে হবে। অন্যথায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে মিড ডে মিল পরিচালনা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে না। বাজারে ডিম, ডাল সহ বিভিন্ন সামগ্রীর দাম যেভাবে বাড়ছে তাতে এই বরাদ্দ বৃদ্ধি সুবিধা দেবে না।
অন্য দিকে, বিজেপির শিক্ষা সেলের রাজ্য সম্পাদক পিন্টু পাড়ুই বলেন, ‘‘বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে শুনলাম। এটা খুবই ভাল ব্যাপার। তবে ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থে আরও খানিকটা বাড়ানো গেলে ভাল হত। পাশাপাশি কেন্দ্রের উচিত রাজ্য সরকারের উপর নজর রাখা, যাতে মিড-ডে মিলের টাকা অন্য খাতে ব্যয় না হয়। আমি আজও অভিযোগ করেছি মিড-ডে মিল নিয়ে।’’