প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: একেতেই খুদে পড়ুয়াদের পড়াশোনার চাপ রয়েছেই তার উপর আবার ব্যাগের অতিরিক্ত ওজন বহন করা যেন বাড়তি চাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বহু অভিভাবক বাস্তবিকই তাঁদের সন্তানদের বইয়ের এই ভার নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন হয়ে থাকেন। বর্তমানে শুধুমাত্র বেসরকারি স্কুল নয়, সরকারি প্রাথমিক স্কুলের খুদে পড়ুয়াদেরও একই দশা ৷
বই, খাতা, জলের বোতল, টিফিন বক্স- সব মিলিয়ে ব্যাগের যা ওজন হয়, তা বহন করতে নাজেহাল পড়ুয়ারা। এদিকে স্কুলব্যাগের বোঝা কমাতে কেন্দ্রীয় আইন হয়েছে ২০০৬ সালে। তাতে বলা হয়েছে, পড়ুয়াদের ব্যাগের ওজন তার শরীরের ওজনের ১০ শতাংশের বেশি হবে না। এমনকি রাজ্য সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকেও ব্যাগের ওজন কমানোয় গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে। আর এই আবহেই এবার এই সংক্রান্ত প্রাইভেট বিল জমা পড়ল বিধানসভায়।
প্রাইভেট বিলে কী বলা হয়েছে?
সূত্রের খবর, এদিন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ শৈশব রক্ষা নিয়ে এই প্রাইভেট বিল জমা করেছেন। যেখানে নানা বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হল শিশুদের শিক্ষা এবং নিত্যদিন শিশুদের যে ব্যাগের ভার বহন করতে হয় সেই নিয়েও নানা তথ্য তুলে ধরা হয়েছিল এই বিলে। এছাড়াও বিধায়কের এই বিলে শিশুদের স্বাস্থ্য, শৈশবে কোন পরিবেশে সেই শিশু বেড়ে উঠছে, ড্রপ আউট, স্কুলে কতক্ষণ কোনও শিশুকে থাকতে হচ্ছে সেটার ক্ষেত্রে বিজ্ঞানভিত্তিক একটা ব্যবস্থা গড়ে তোলা এই বিষয়গুলি যুক্ত হয়েছে। এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকেই। এবং এর মাঝেই প্রশ্ন উঠছে সকলের মনে কীভাবে বিধানসভায় প্রাইভেট বিল জমা করতে হয়।
বিধানসভায় কীভাবে প্রাইভেট বিল জমা হয়?
বিধানসভায় এই বিল পাশের ক্ষেত্রে একাধিক ধাপ রয়েছে। প্রথমে সেটি আইন বিভাগের কাছে যায়। যদি সেই বিলে আইনবিভাগ সবুজ সংকেত দেয় তাহলে সেই বিল পাঠানো হয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে। তিনি যদি এই বিলে অনুমোদন দেন তাহলেই এই বিল যায় রাজভবনে। এবং সেখানে রাজ্যপাল যদি এই বিলে অনুমোদন দেয় তাহলেই তা বিধানসভায় আলোচনার জন্য ফেরত আসে। এরপর সেই বিল নিয়ে আলোচনা হয়। কিন্তু যদি রাজ্যপাল সেই বিল নাকচ করে দেয় তাহলে বিধানসভায় আলোচনার জন্য সেই বিল আর আসে না। এবার দেখার পালা বিজেপি বিধায়কের এই প্রশংসনীয় বিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবুজ সঙ্কেত দেন কি না।