ঘোষণার পরেও মিলছে না বর্ধিত বেতন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর অভিযোগ

Published on:

nabanna mamata

পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ মহার্ঘ ভাতা (Dearness allowance) নিয়ে রাজ্যের সাথে কর্মীদের বিরোধ কারোরই জানতে বাকি নেই। তবে জানেন কি বেতন বাড়ানোর নির্দেশিকা জারি হলেও বেতন বাড়ছে না সরকারি কর্মীদের। শুনে অবাক হলেন? তাহলে সম্পূর্ণ ঘটনাটি জেনে নিন আজকের প্রতিবেদনে।

নির্দেশিকা জারি হলেও বাড়েনি বেতন

WhatsApp Community Join Now

যেমনটা জানা যাচ্ছে, এবছরের শুরুর দিকেই সরকারি দফতরে নিযুক্ত চুক্তিভিত্তিক কর্মী ও অস্থায়ী কর্মীদের বেতন বাড়ানোর নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। সেই মত পশ্চিমবঙ্গ ভূতল পরিবহন নিগম ওয়াকার্স ইউনিয়ানের জলসাথী কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বছর শেষ হতে চললেও বেতন যা ছিল তাই রয়ে গিয়েছে।

ভূতল পরিবহন ব্যবস্থায় ভেসেল বা ফেরি পরিষেবার সাথে যুক্ত থাকা মাস্টার ড্রাইভার, লস্করদের অস্থায়ী নিয়োগ দেওয়া হয়। এই সমস্ত কর্মীদের জলসাথী কর্মী বলা হয়। এমনই এক কর্মীর মতে, ২০১৮ সালে যখন হয় সেই সময় ১০,০০০ টাকা বেতন দেওয়া হত। পরবর্তীকালে ২০১৯ সালে সেটা ২০০০ টাকা বাড়িয়ে ১২,০০০ টাকা করে দেওয়া হয়। তবে এরপর আর বেতন বাড়েনি। সরকারি নির্দেশিকা জারি হওয়ার পর আশা জাগলেও বর্ধিত হারে বেতন এখনও পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে না।

ডেপুটেশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত কর্মী সংগঠনের

দীর্ঘদিন যাবৎ বেতন বৃদ্ধির ঘোষণা হওয়া সত্ত্বেও সেটা কার্যকর নাও হওয়ায় একপ্রকার ক্ষুদ্ধ কর্মীরা। এক কর্মীর মতে, ১২,০০০ টাকা এর মধ্যে থেকে হাতে আসে মাত্র ১০,৩০০ টাকা। বহু দফতরে একাধিকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে, তবু বেতন বৃদ্ধি পাচ্ছে না। বর্তমানে বাজারে যে হারে মূল্যবৃদ্ধি চলছে তাতে দশ হাজার টাকায় কিভাবে সংসার চালাতে পারবে মানুষ? দেওয়া পিঠ ঠেকে গেছে। তাই ডিপারেশন দেওয়া হবে। এতে কাজ হলে ভালো নাহলে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে হবে।’

আজ অর্থাৎ শুক্রবারেই অভিযোগের কথা জানিয়ে টালিগঞ্জের অফিসে ডেপুটেশন জমা দেওয়া হয়েছে ভূতল পরিবহন ও জলসাথী কর্মীদের সংগঠনের তরফ থেকে। তবে এটা স্পষ্ট যে বেতন বৃদ্ধি না পেলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামা ছাড়া অন্য কোনো উপায় থাকবে না।

কি জানাচ্ছে WBSTC?

জলসাথী কর্মীরা আন্দোলনে নামলে পরিষেবা বিঘ্নিত হতে পারে। তাই আগে থেকেই পরিস্থিতি সামলাতে অ্যাকশন নিতে চলেছে WBSTC, এমনটাই জানাচ্ছেন এক আধিকারিক। তার মতে, ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেটি দ্রুত রাজ্যের অর্থ দফতরে অনুমোদনের জন্য পাঠানোর পক্রিয়া চলছে। আশা করা হচ্ছে শীঘ্রই সমস্যার সমাধান হবে।

সঙ্গে থাকুন ➥
X