পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ চলতি বছরের জুন মাসে শুরু হওয়া কোটা আন্দোলনের পর থেকেই অশান্ত বাংলাদেশ। মুখমন্ত্রীর পদত্যাগের পর কোটা আন্দোলনের সমস্যা মিটলেও শান্তি ফেরেনি ওপার বাংলায়। বর্তমানে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর নানা অত্যাচারের ঘটনা সামনে আসছে। এরই মাঝে চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির খবরও মিলেছে। যার জেরে পরিস্থিতি আরও উত্তাল হয়ে উঠেছে।
ভারতের হাসপাতালে বাংলাদেশিদের No Entry!
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা ও সন্ন্যাসী গ্রেফতারের ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে ভারত সরকারের তরফ থেকে। তবে এবার জানা গেল ভারতের হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হবে না বাংলাদেশিদের। হ্যাঁ ঠিকই দেখছেন, কলকাতার মানিকতলার এক নার্সিংহোমের তরফ থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের কাণ্ডে ক্ষুদ্ধ ভারত
আসলে কিছুদিন হল একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে খুব ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দকেহা যাচ্ছে ঢাকা বুয়েট বিশ্ববিদ্যালয়ের দরজায় পাতা রয়েছে ভারতের জাতীয় পতাকা। সেটির উপর দিয়েই কলেজে ঢুকছে পড়ুয়ারা। এমন একটা দৃশ্য দেখামাত্রই ক্ষুদ্ধ দেশের নাগরিকেরা। জাতীয় পতাকার এহেন অপমান কখনোই মেনে নেওয়া যায় না।
বড়সড় সিদ্ধান্ত ভারতীয় চিকিৎসকের
ভাইরাল পোস্টটি দেখার পর এক স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ ইন্দ্রনীল সাহা ঠিক করেছেন যে তিনি আর কোনো বাংলাদেশী রোগী দেখবেন না যতদিন পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়াতে ডাক্তারবাবু একটি পোস্টে লেখেন, ‘বুয়েট ইউনিভার্সিটির প্রবেশ পথে ভারতের জাতীয় পতাকা বিছানো! চেম্বারে বাংলাদেশের থেকে আসা রোগী দেখা আপাতত বন্ধ রক্ষক। আগে দেশ, পরে রোগজার। আশা করব সম্পর্ক স্বাভাবিক না পাওয়া অবধি বাকি ডাক্তারেরাও একই সিদ্ধান্ত নেবেন’।
স্বাভাবিকভাবেই ডাক্তারের এই সিদ্ধান্তের ফলে বিপাকে পড়তে হয়েছে বাংলাদেশ থেকে আসা রোগীদের। কারণ কলকাতায় চিকিৎসার জন্য প্রচুর বাংলাদেশী রোগী আসেন, তাদের চিকিৎসা না করলে প্রাণ সংশয় হতে পারে। এদিকে অনেক চিকিৎসকই ইন্দ্রনীলবাবুর মন্তব্যকে সমর্থন করেছেন।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা এখনও সেই পরিমাণ উন্নত নয়। তাছাড়া চিকিৎসার খরচও অনেকেরই সাধ্যের বাইরে। তাই কম খরচ সুচিকিৎসা করানোর জন্য লক্ষ লক্ষ মানুষ মেডিক্যাল ভিসা নিয়ে ভারতে আসেন। মূলত কলকাতায় নিজেদের চিকিৎসা করেন তাঁরা। কিন্তু ওপর বাংলায় ঘটতে থাকা সাম্প্রতিক ঘটনার জেরে এবার বিপাকে পড়তে পারেন বাংলাদেশি রোগীরা, এমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছে।