শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ বছর শেষ হওয়ার আগেই পোয়া বারো হল রাজ্য সরকারি কর্মীদের। অবশেষে এক ধাক্কায় বেশ খানিকটা বাড়িয়ে দেওয়া হল মহার্ঘ্য ভাতা (Dearness allowance)। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। একদিকে যখন দিওয়ালির সময়ে কোটি কোটি কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের DA বাড়ে তখন রাজ্যের সরকারি কর্মীরাও কার্যত মুখিয়ে ছিলেন যে তাঁদেরও কবে ডিএ বাড়বে। অবশেষে সেটাও বেড়ে গেল। সপ্তম বেতন পে কমিশনের আওতায় রাজ্যের লক্ষ লক্ষ কর্মীর ডিএ বেড়েছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সকলের মধ্যে খুশির হাওয়া বইছে। আরও বিশদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই প্রতিবেদনটির ওপর।
সরকারি কর্মীদের DA বাড়ল
তবে আপনি যদি মনে করে থাকেন বাংলার সরকারি কর্মীদের ডিএ বেড়েছে তাহলে ভুল ভাবছেন। আসলে ত্রিপুরার লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মীর এই ডিএ বৃদ্ধি হয়েছে। ৫ শতাংশ ডিএ বেড়েছে। এর জেরে মূলত উপকৃত হবেন বিদ্যুৎ বিভাগে কর্মরত কর্মীরা। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ত্রিপুরার বিদ্যুৎমন্ত্রী রতন লাল নাথ ত্রিপুরা স্টেট পাওয়ার কর্পোরেশন লিমিটেডের (টিএসইসিএল) কর্মীদের জন্য ৫ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা করেছেন, যা ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হবে।
উপকৃত হবেন লক্ষ লক্ষ কর্মী
রতন লাল নাথ পুজোর মরসুমে নিরবচ্ছিন্ন পরিষেবা নিশ্চিত করার জন্য বিদ্যুৎ কর্পোরেশনের কর্মীদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। বলেন যে টিএসইসিএল সম্ভবত নভেম্বরের বেতনের পাশাপাশি এই ভাতা মঞ্জুর করার জন্য রাজ্যের প্রথম পাবলিক সেক্টর ইউনিট। যাইহোক, এই বর্ধিত ভাতার জন্য প্রতি মাসে সরকারের অতিরিক্ত ৫৫ লক্ষ টাকা খরচ হবে। যেহেতু পৃথক পিএসইউ তৈরির পরেও, টিপিটিএল এবং টিপিজিএল টিএসইসিএল ছাতার অধীনে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে তিনটি সংস্থাকেই সম্মিলিতভাবে মহার্ঘ ভাতা প্রদান করা হবে।
মন্ত্রী সাম্প্রতিক বন্যার সময় বিদ্যুৎ কর্মীদের কাজের জন্য কর্মচারীদের প্রশংসা করেছেন। কীভাবে তাঁরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যুৎ পরিষেবা পুনরুদ্ধার করতে সেই ব্যাপারটিও সকলের সামনে তুলে ধরেন। ত্রিপুরায় এখন ১১,২৪,৯১৮ জন বিদ্যুৎ গ্রাহক রয়েছে, যা ২০১৮ সালে ছিল ৭,২১,৯৫৫ জন। এর মধ্যে ১ লাখ ৪১ হাজার ৫৮৩ জন প্রিপেইড গ্রাহক এবং ৯ লাখ ৮৩ হাজার ৩৩৫ জন পোস্টপেইড।