প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: চলতি বছর আগস্ট মাসে বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে সে দেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের একাধিক অভিযোগ উঠে এসেছে। সেই সময় গোটা দেশের শাসনব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়। যার মূল উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেন মুহাম্মদ ইউনূস। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। বরং হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের ঘটনা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। যা নিয়ে সরব হয়েছে বিভিন্ন দেশ। ব্রিটিশ পার্লামেন্টেও উঠে এসেছে বাংলাদেশের ইস্যু।
রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে বিক্ষোভ-ধরনার অনুমতি আদালতের
এদিকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর আক্রমণের আঁচ ছড়িয়েছে গোটা ভারতবর্ষে। বাদ যায়নি পশ্চিমবঙ্গ। তাইতো এপার বাংলাতেও দিকে দিকে চলছে প্রতিবাদের ঝড়। রাজ্যের নানান প্রান্তে প্রতিবাদ মিছিল, সভার আয়োজন করা হচ্ছে বাংলাদেশের হিন্দুদের জন্য। আর এবার এই পরিপ্রেক্ষিতেই রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে বিক্ষোভ-ধরনার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। কিন্তু সেই অনুমতির মধ্যে দিয়েও এক বড় মন্তব্য করলেন বিচারপতি।
সূত্রের খবর, বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর লাগাতার অত্যাচারের প্রতিবাদে কলকাতায় আগামী ৫ ডিসেম্বর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রানি রাসমণি অ্যাভিনিউতে ধরনা অবস্থান করতে চলেছে ‘খোলা হাওয়া’ নামে একটি সংগঠনের। বিজেপি প্রাক্তন সংসদ স্বপন দাশগুপ্তের সভাপত্বিতে ওই সংগঠনের আয়োজন করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে প্রায় আড়াই হাজার সমর্থক নিয়ে সভা হবে। এদিকে রাজ্যের বক্তব্য, সেনা বাহিনীর অনুমতি পেলে ওইদিন পুলিশের কোনও আপত্তি নেই। পাশাপাশি আদালতও ঐদিনের সভার অনুমতি দেয়, কিন্তু বিচারপতি তাঁর পর্যবেক্ষণ স্পষ্ট করে দেন।
অনুমতির পরিপ্রেক্ষিতে বড় মন্তব্য বিচারপতির
এদিন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ স্পষ্ট করে আদালতে জানালেন যে, “ রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে বিক্ষোভ-ধরনা এবং সভার অনুমতি দিলেও কোনওভাবে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর বা সরকারি কর্মীদের উপর হামলা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে। এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে আদালত নিজেই আগামী দিনে এমন ধরনা, বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণ করবে।” বিচারপতির তাৎপর্যপূর্ণ পর্যবেক্ষণ, জনগণের নজর পাওয়ার জন্য অনেকেই এইসব বিক্ষোভ সভা থেকে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর থেকে সরকারি কর্মীদের গায়ে হাত দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটে কিন্তু আদালত সেটা হতে দিতে পারে না।