প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: চলতি বছর কালীপুজোর উৎসব মিটতে না মিটতেই রাজ্যের ৬ টি জেলায় উপনির্বাচন সংঘটিত হয়। কড়া নিরাপত্তার মাঝেই বিনা ঝঞ্ঝাটে নির্বাচন সম্পন্ন হয়। এবং সেই নির্বাচনে দারুণ ফলাফল করে তৃণমূল। তবে এবার লক্ষ্য হল ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন। তাই সময় নস্ট না করেই এবার সেই কাজে নেমে পড়লেন মুখ্যমন্ত্রী।
২০২৬-র বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে বৈঠক মন্ত্রীদের
সূত্রের খবর, গত সোমবার বিধানসভা বৈঠক শেষে পূর্ত ও জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের মন্ত্রী পুলক রায় ও তাঁর দফতরের শীর্ষ আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ-সহ রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, কৃষি মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এবং সেচ ও জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। এবং সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এখন থেকে রাজ্যে কাজের অগ্রগতি জানবার জন্য মন্ত্রী ও আধিকারিকদের নিয়ে প্রতি সোমবারই বৈঠক হবে। কারণ এইমুহুর্তে সরকারের একমাত্র লক্ষ্য হল ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন।
আর এই বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টার্গেট করছে সেই সকল দফতরকে, যেগুলি রাজ্যের আমজনতার সঙ্গে ওতোপ্রতো ভাবে জড়িত। বিশেষজ্ঞদের মতে যে সকল দফতরগুলি রাজ্যের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, সেগুলি হল পূর্ত দফতর, কৃষি দফতর, পঞ্চায়েত দফতর এবং পরিবহন দফতর। জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলি নিয়েও জোরদার নানা পরিকল্পনা করা হচ্ছে। উঠে আসছে লক্ষ্মীর ভান্ডার’-এর মতো জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের প্রসঙ্গ। প্রতি বারের মত এবারেও নির্বাচনের ক্ষেত্রে এই প্রকল্প মোকাবিলা করবে কি না, তা নিয়ে দলের অন্দরেই অনেকে সংশয়ী দেখা যাচ্ছে।
মন্ত্রিসভার একাংশে রদবদল এর সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রীর
অন্যদিকে সাধারণ মানুষের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে রয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। যেই দফতরের দায়িত্ব ২০১১ সাল থেকে নিজের হাতেই রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও গত আগস্টে আরজি কর কাণ্ডের পরে রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থা এবং স্বাস্থ্য প্রশাসন ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। ডাক্তার, রোগী এবং নার্সদের নিরাপত্তা নিয়েও উঠেছিল প্রশ্ন। তবে সেই প্রশ্নবিদ্ধ অবস্থা আর নয়। কারণ সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই আগামী কয়েক মাসের মধ্যে স্বাস্থ্য দফতরের আমূল চিত্র বদলাতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে নবান্ন। প্রয়োজনে এবার প্রশাসন এবং মন্ত্রিসভার একাংশে রদবদল আনতেও চলেন মুখ্যমন্ত্রী।