প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকটা দিন। নতুন বছর শুরুর আনন্দে সকলে যখন খুবই উত্তেজিত তখন আরেকদিকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা (Higher Secondary Exam) নিয়ে খানিক চিন্তিত ছাত্রছাত্রীরা। আগামী বছর ৩ মার্চ শুরু হবে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা এবং তা শেষ হবে ১৮ মার্চ। চলতি বছরই শেষবারের মতো পুরনো সিস্টেমে পরীক্ষা হবে। তারপর শুরু হতে চলেছে সেমেস্টার সিস্টেম। তাই শেষ মুহূর্তে পরীক্ষার প্রস্তুতি করা হচ্ছে জোর কদমে। আর এদিকে প্রশ্নপত্র ফাঁস রুখতে এ বার কড়া পদক্ষেপ পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের।
প্রশ্নপত্র ফাঁস রুখতে বড় পদক্ষেপ
এতদিন নিয়ম ছিল সংসদ থেকে প্রশ্নপত্র চলে যেত পরীক্ষাকেন্দ্রের সুপারভাইজ়ারের ঘরে। তারপর পরীক্ষা শুরুর ৪৫ মিনিট আগে প্রশ্নপত্রের সিল খুলে দেওয়া হতো। পরে তা আবার সিল করে পরীক্ষার হলে পাঠিয়ে দেওয়া হতো। কিন্তু এ বার সেই নিয়মে বদল আনা হয়েছে। গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার মালদায় এমনটাই জানালেন সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। শুধু তাই নয় পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ফাঁস রুখতে নেওয়া হতে চলেছে আরও একাধিক পদক্ষেপ।
ইউনিক সিরিয়াল নম্বরের ব্যবস্থা
সর্বভারতীয় প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ধাঁচে গত বার থেকে উচ্চ মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্রে ‘ইউনিক সিরিয়াল নম্বর’ ব্যবহার চালু হয়েছিল। প্রশ্ন ফাঁস হলে অপরাধীদের যাতে দ্রুত ধরা যায়, তা নিশ্চিত করতেই ‘ইউনিক সিরিয়াল নম্বর’ ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এই ব্যবস্থায় প্রশ্নপত্রের উপরে ডান দিকে একটি সিরিয়াল নম্বর থাকে। সেই নম্বরটি উত্তরপত্রের একটি নির্দিষ্ট জায়গায় লিখতে হয় পরীক্ষার্থীদের। পরীক্ষাকেন্দ্রে যাঁরা দায়িত্বে থাকেন, তাঁদের কাজ পরীক্ষা শুরুর আগেই এই বিষয়টি পরীক্ষার্থীদের বুঝিয়ে দেওয়া।
সেক্ষেত্রে সংসদের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে পরীক্ষাকেন্দ্রের পরিদর্শকেরা যখন উত্তরপত্রে নিজেদের সই করবেন, তখন ভাল করে মিলিয়ে দেখে নেবেন সিরিয়াল নম্বর উত্তরপত্রে রয়েছে কি না এবং সেটি ঠিক লেখা হয়েছে কি না। পাশাপাশি প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রে থাকছে মেটাল ডিটেক্টরের ব্যবস্থা। এবং বারকোড ও কিউআর কোডের ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংসদ সভাপতি।