প্রীতি পোদ্দার, নয়া দিল্লি: যত দিন এগোচ্ছে বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও উত্তাল এবং উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। গত আগস্ট মাসের হাসিনা সরকারের পতনের পর মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই সংখ্যালঘু হিন্দুদের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক অশান্তি, বাড়ি ভাঙচুর এবং মারধরের অভিযোগ উঠেছে। সঙ্গে মন্দিরে মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর তো আছেই। তার উপর সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করার পর পরিস্থিতি আরও চরমে পৌঁছেছে। আর এই আবহেই এবার ভারত ওপার বাংলায় পাঠাতে চলেছে আস্ত একটি ট্রেন।
অশান্তির মধ্যেও বাংলাদেশে পাঠানো হল ট্রেন
আসলে এই মুহূর্তে বাংলাদেশে যে অশান্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে তাতে সেখানে বসবাসকারী অনেকেই ভারতে আসতে পারছেন না। সহজে ভিসা পেতে অনেককেই দিশাহারা হতে হচ্ছে। পাশাপাশি হিন্দুদের ভারতে আসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু এই এত অশান্তির মধ্যেও মোদি সরকার সরে আসেনি তার চুক্তি থেকে। আসলে ভারতের সঙ্গে বৈদেশিক চুক্তি ছিল বাংলাদেশের। তাই সেই চুক্তি মেনেই গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সাত সকালেই গেদে সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পাঠানো হল মালগাড়ি। ৭০ থেকে ৮০টি বগি রয়েছে ওই মালগাড়িতে। ভবিষ্যৎ এ ভারত বাংলাদেশকে আরও মালগাড়ি রফতানি করবে বলে জানা গিয়েছে।
আলু, ডিম, ফল সহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় দ্রব্য পাঠানো হয়
তবে শুধু মালগাড়ি নয়, ভারত থেকে বাংলাদেশে আরও বিভিন্ন পণ্যও আমদানি হয়। যার মধ্যে রয়েছে আলু, ডিম, ফল সহ খাদ্যদ্রব্য, দুগ্ধজাত দ্রব্য এবং অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী। এই সমস্ত পণ্য বাংলাদেশে পাঠানো হয় যাতে তাদের বাজারে প্রয়োজনীয় জিনিসের অভাব না হয়। তবে গতকাল বাংলাদেশে খালি ট্রেন পাঠানো হয়েছিল।
অন্যদিকে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ মারফৎ জানা গিয়েছে শেখ হাসিনা সরকারের আমলে সংসদ সদস্য পদে থাকা একাধিক ব্যক্তির আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। মোট ৭৭৮টি লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যার মধ্যে হাসিনার সরকারের আমলে যাঁরা উচ্চ পদে ছিলেন, তাঁদের অনেকেরই অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল হয়েছে।