প্রীতি পোদ্দার, কুলপি: কিছুদিন আগেই রাজ্যের ৬ কেন্দ্রে উপনির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। ফলাফলের নিরিখে রাজ্যের শাসকদল অর্থাৎ তৃণমূল সরকার দারুণ স্কোর করেছে। তবে এই ফলাফলে অনেকটা ধাক্কা খেতে হয়েছে বিরোধী দল বিজেপিকে। কিন্তু ভোট পর্ব মিটতেই ফের কুলপিতে এক তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যর খুনের ঘটনা সাড়া ফেলে দিয়েছে গোটা এলাকায়। থানার সামনে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ।
ঘটনাটি কী?
সূত্রের খবর, গতকাল অর্থাৎ রবিবার, আনুমানিক সন্ধ্যে আটটা নাগাদ কুলপির চুনফুলি মোড়ে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য নুর উদ্দিন নামাজ পড়তে যাওয়ার উদ্দেশে বেরিয়েছিলেন। আর ঠিক সেই সময়ে দুষ্কৃতীরা সুযোগ বুঝে তাঁর উপর চড়াও হয়। অভিযোগ, ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয় তাঁকে। এর পর ওই এলাকায় শুরু হয় বোমাবাজি। কোনো রকমে আহত তৃণমূল নেতাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুলপি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। এই ঘটনায় আরও এক জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিন এই ঘটনায় এলাকা থেকে বেশ কিছু বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয়। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে এলাকায় এইমুহুর্তে এক আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এদিকে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য নুর উদ্দিন এর খুনের প্রতিবাদে কুলপি থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি ও তাঁর অনুগামীরা।
মসজিদে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল!
এই প্রসঙ্গে সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার কোটেশ্বর রাও বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে। তদন্ত শুরু করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই এর পিছনে আসল সত্যিটা বেরিয়ে আসবে।’ অন্যদিকে নিহত পঞ্চায়েত সদস্যের বউমা বলেন, ‘আমার শ্বশুরমশাই নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন। মসজিদে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এরপর তাঁর ওই অবস্থা করেছে। কারা করেছে আমরা জানি না।’